Tag Archives: infertility counseling

Are you suffering from polycystic ovarian syndrome? This diet is sure to bring relief!

Obesity contributes to the risk of Polycystic Ovarian Syndrome (PCOS). A healthful diet rich in fibre and protein can help you manage weight and relieve PCOS symptoms.

Read more in Bengali

পি সি ও এস কি

পি সি ও এস একটি জেনেটিক, হরমোনাল, বিপাকীয় এবং প্রজনন ব্যাধি। এটি একটি হরমোন-জনিত সমস্যা যা ১৫ থেকে ৪৪ বছর নারীদের প্রভাবিত করে। সঠিক ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমিয়ে এটি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়।

পি সি ও এস-এর লক্ষণ

পিসিওডি লক্ষণ গুলি প্রথমে খুবই শান্ত অবস্থায় থাকে। খুবই সাধারণ লক্ষণ গুলি হল:

ঋতু মাসিক

দীর্ঘদিন ধরে মাসিক না হওয়ার কারনে বা সময়মতো মাসিক না হওয়া, অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া পি সি ও এস-এর লক্ষণ।

মুখে এবং শরীরে অবাঞ্ছিত চুল বৃদ্ধি

এই অবস্থায় ৮০ শতাংশ মহিলাদের মুখে ও শরীরে চুল বৃদ্ধি পায়।

ব্রণ বৃদ্ধি

আপনার যদি পি সি ও এস থাকে তাহলে হরমোন ত্বককে বেশি তৈলাক্ত করে তুলতে পারে যা ব্রণ বৃদ্ধি করে। কিশোর বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণ সাধারণ হয় কিন্তু পি সি ও এস সহ অল্প বয়স্ক মহিলাদের আরও গুরুতর ব্রণ হতে থাকে।

ওজন বৃদ্ধি

এই অবস্থায় ৭০ শতাংশ মহিলাদের ওজন বৃদ্ধি পায়।

ত্বকে কালো দাগ

এর আরেক লক্ষণ হল স্তনের নীচে ও গলায় কালো প্যাচ দাগ।

ওজন কমানোর জন্য পিসিওএস ডায়েট

পি সি ও এস ডায়েট পরিকল্পনার শুরু করার আগে, আপনাকে অব্যশই জানতে হবে পি সি ও এস এড়াতে কোন খাবারগুলো ডায়েটের জন্য রাখা উচিত এবং খাবারের তালিকা কি তা জানা উচিত।

যেগুলো খাবেন:

  • হাই-ফাইবার ডায়েট: ডাল, বিনস্ জাতীয় শস্য, ছোলা, বেরি জাতীয় ফল, হোল গ্রেইনস (ব্রাউন রাইস, হোল ওটস, কুইনওয়া)
  • লিন মিট বা কম ফ্যাটযুক্ত প্রোটিন: কম ফ্যাটযুক্ত মাছ, মাংস
  • অ্যান্টি অক্সিড্যান্টসযুক্ত খাবার: শাকসবজি, নাট বাটার, হোলগ্রেইনস

যেগুলো খাবেন না:

  • রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট: সাদা ভাত, সাদা পাঁউরুটি, পাস্তা, পিৎজা
  • চিনিযুক্ত পানীয়: সোডা, ফলের রস, সংরক্ষণ করা স্মুদি
  • মিষ্টি প্রসেসড খাবার: কেক, মিষ্টি বিস্কুট, ক্যান্ডি, মিষ্টি ইয়োগার্ট, আইসক্রিম
  • স্যাচুরেটেড বা ট্রান্স ফ্যাট: রেড মিট, প্রসেসড মাংস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ডোনাটস
  • দুগ্ধজাত দ্রব্য: প্রসেসড চিজ, মিষ্টি ইয়োগার্ট, আইসক্রিম
  • অ্যালকোহল: মিষ্টি জুস দিয়ে বানানো ককটেল, ক্যানের ককটেল

ব্যায়াম, শারীরিক কসরতের মাধ্যমে যতটা সম্ভব অ্যাকটিভ থাকলে, তা সাহায্য করবে রোগ মোকাবিলায়। ব্রিস্ক ওয়াকিং, যোগাভ্যাস, জগিং, স্কিপিং, সাঁতার কাটা… যে কোনও কিছু রোজ করতে হবে নিয়ম মেনে। ওজন যত কমবে, অ্যাবডোমিনাল এরিয়ায় মেদ যত ঝরবে, ততই সুস্থ থাকবে শরীর। তাই পিসিওএস রুখতে হাতিয়ার করুন নিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং সংযত জীবনযাপনকে।

The Challenges Of Motherhood And Mental Health

New mommies often experience a mixture of emotions during pregnancy & following delivery. Here is why looking after maternal mental health should top the list.

Read more in Bengali

Maternal mental health

যেকোনো সন্তানপ্রত্যাশী নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তার গর্ভধারণের সময়। ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সাইকেল চলা, শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তা, প্রসব-বেদনা বিষয়ক আতঙ্ক, নিজের কাছে একটু একটু করে বেড়ে উঠতে থাকা একটি নতুন প্রাণের অস্তিত্ব, মা হিসেবে নতুন একটি পরিচয় পাওয়া- সব মিলিয়ে নারীটির মন যেমন আনন্দে ভরে যায়; অপরদিকে সন্তান জন্মদান, তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে অস্থিরতা, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তাওকম হয় না।

হবু মায়েদের শারীরিক পরিবর্তনগুলো সহজে চোখে ধরা দিলেও তাদের মানসিক অবস্থার এই পরিবর্তনগুলো অনেকটাই আড়ালে, অবহেলায় থেকে যায়। সমীক্ষা বলছে, প্রেগন্যান্সির সময়ে ও বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে প্রতি ১০ জনে ১ জনের বেশি মহিলা এই সমস্যার শিকার। অথচ এসব আবেগগুলো ঠিক সময়ে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গর্ভাবস্থায় ও তারপরেও মা ও শিশুর ওপরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। 

একথা ঠিক, এইসব চিন্তাভাবনা চাইলেই সহজে মন থেকে দূর করা যায় না। একদিকে আনন্দ, খুশি, অসহায়তা আর অন্যদিকে ভয় আর দুশ্চিন্তা  থেকেই এই সমস্যা হয়। কাজেই কন্সিভ করার আগে মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। অতিরিক্ত আবেগ, স্ট্রেস, আর ডিপ্রেশন থেকে শরীর ও মন দুর্বল হয়ে পড়বে|

এমন কোনো সমস্যার শিকার যদি আপনি হন তাহলে হতাশ হবেন না বা নিজেকে দোষী ভাববেন না। কাজেই প্রতিটি হবু মা এমনকী বাবাদেরও জানা উচিত যে এই মানসিক অবস্থা শুধু একটি নারীর সমস্যা নয়। অনেকে নিজেরা কাটিয়ে উঠতে পারেন আবার অধিকাংশ মানুষ পারেন না। নিজে না পারলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অবস্যই নেবেন| তাহলেই দেখবেন আবার সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে অসুবিধে বোধ করছেন না।

মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময়ে তার পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা

আমার মতে ডাক্তারের আশ্বাসবাণীর সাথে সাথেই প্রয়োজন পরিবারের সদস্যদের সাহায্য। যেমন ধরুন, সন্তানসম্ভবা বা ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট চলছে এমন মহিলার মা, শাশুড়ির, বা অন্যান্য কাছের মানুষদের উচিত তাকে বোঝানো যে ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট আজ খুব স্বাভাবিক এক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জটিলতাr সম্ভাবনা থাকে না।

মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে এবং মন ফুরফুরে রাখতে –

  • দিনের বেলা বিশ্রাম এবং রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, দুটোই দরকার
  • অতিরিক্ত কাজের বোঝা ও ছুটোছুটি অতি অবশ্যই কমাবেন
  • মায়ের নিজের পুষ্টি চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে পরিমাণমতো সুষম খাদ্যগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু যোগব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করতে পারেন
  • অবসরে নিজের পছন্দের কাজ করলে আপনার মন ভালো থাকবে
  • আপনার সঙ্গীর সাথে নিয়মিত সময় কাটান তাতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়ে উঠবে
  • ধাত্রীবিদ্যার বিশেষজ্ঞের সঙ্গেমনের চিন্তা, ভয় বা আশঙ্কা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন

সন্তানহীনতা থেকে শুরু হয় স্ট্রেস এবং সেটি ক্রমশ বাড়তে থাকে যখন শুরু হয় কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি. একজন দম্পতির মনে ভীড় করে আসে নানা প্রশ্ন – আদৌ কি সন্তান হবে? খরচ কত? সাফল্য কি নিশ্চিত? প্রথমেই কি সাফল্য আসবে? 

এই কারণেই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই একজন দম্পতির দরকার কাউন্সেলিং| জিন ও ক্রোমোজোমের কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় কাউন্সেলিং-এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি। দম্পতি প্রথমে একজন ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের কাছে যান। সেই চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী দম্পতিকে জেনেটিক কাউন্সেলরের কাছে পাঠান। কাউন্সেলর ওই দম্পতির রিপোর্ট দেখে বন্ধ্যত্বের কারণটি খুঁজে বের করেন। এরপর ধৈর্যের সঙ্গে দম্পতিকে বুঝিয়ে বলেন ও সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখান।

আই ভি এফ বা অন্য কোনো চিকিৎসাপদ্ধতির সাথে সাথেই চলতে থাকে কাউন্সেলিং| প্রথমবারের জন্য কাউন্সেলরের কাছে আসলেই দম্পতিকে বুঝিয়ে বলা হয় যে প্রথমবারের চেষ্টাতে সাফল্য নাও আসতে পারে। অধিকাংশই মানুষই বিষয়টা মেনে নেন। কোনও ক্ষেত্রে বারংবার চিকিৎসা অসফল হলে, সেটা মানতে সমস্যা হতেই পারে, তখন কাউন্সেলিংএর দ্বারা মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়|