Category Archives: Uncategorized

Vaccines for Children: Your Questions Answered

Vaccines for Children

The last week of April (24th to 30th) is observed as the World Immunization Week every year. The focus is on informing individuals about the use of vaccines and the role they play in fighting against diseases at different ages. So, we chose this week to answer these 10 frequently asked questions about vaccination.

What is vaccination?

Vaccination is a simple, safe, and effective way of protecting ourselves against harmful diseases. It uses our body’s natural defenses to build resistance to specific infections, making our immune system stronger.

Vaccines train the immune system to produce antibodies just as it does when exposed to a particular disease. However, vaccines only contain weakened or killed forms of germs like bacteria or virus so, they do not cause the disease or put you at risk of its complications.

Most vaccines are injected but some are sprayed into the nose or administered orally.

Why Vaccinate?

On-time vaccination throughout childhood is essential because it boosts immunity before children are exposed to life-threatening diseases. Vaccines are thoroughly tested to ensure that they are safe and effective for children at the recommended ages.

How does a vaccine work?

Vaccines reduce the risks of getting a disease by working with the body’s natural defenses to build protection. Thus, after you get vaccinated, your immune system starts responding by:

  • Recognizing the invading germs, such as virus or bacteria
  • Producing antibodies

(Antibodies are proteins naturally produced by our immune system to fight diseases.)

  • Remembering the disease and how to fight against it. If you are exposed to the germ again in the future, your immune system becomes capable of quickly destroying it before you fall ill

The vaccine is, therefore, a safer way of building an immune response in our bodies without causing illness.

Once exposed to one or more doses of a vaccine, we tend to remain protected against a disease for years, decades, or even a lifetime. This is what makes vaccines so effective. Rather than treating diseases after those occur, vaccines prevent us from falling ill in the first instance.

What is in a vaccine?

All the ingredients of a vaccine play an important role in ensuring a vaccine is safe and effective. Some of these include:

  • The antigen – a killed or weakened form of a virus or bacteria that trains our bodies to recognize and fight diseases if we encounter those in the future
  • Adjuvants that help boost immune responses
  • Preservatives to ensure that a vaccine stays effective for the desired period
  • Stabilizers that protect vaccines during storage and transportation

Vaccine ingredients may look unfamiliar when listed on the labels. Many of the components used occur in the environment, in our bodies, and in the food we eat. All the ingredients in vaccines – as well as the vaccines themselves – are thoroughly tested and monitored to ensure they are safe.

Why should I get my child vaccinated?

Without vaccines, we are at risk of serious illness and disabilities from diseases, such as meningitis, pneumonia, and tetanus. Many of these diseases can be life-threatening. WHO estimates that vaccines save about 3 million lives annually.

Although some diseases may have become uncommon, the germs causing them continue to circulate in all or some parts of the world. In today’s world, infectious diseases can easily cross borders, and infect anyone who is not protected.

Two key reasons to get vaccinated are as follows:

  • To protect ourselves and
  • To protect those around

Because not everyone can be vaccinated – including infants, particularly those who suffer from certain allergies or are seriously ill – depend on others around them being vaccinated to ensure they are safe from vaccine-preventable diseases.

What are the diseases vaccines can prevent?

Parents can protect their children from these 14 vaccine-preventable diseases before they are two years old:

  1. Diphtheria
  2. Hemophilus influenzae type b (Hib)
  3. Hepatitis A
  4. Hepatitis B
  5. Influenza (flu)
  6. Measles
  7. Mumps
  8. Pertussis (Whooping cough)
  9. Pneumococcal disease
  10. Polio
  11. Rubella (German measles)
  12. Tetanus (lockjaw)
  13. Rotavirus
  14. Varicella (chickenpox)

When should I vaccinate my child?

Vaccines protect us throughout life – from birth to childhood, as teenagers and into old age. Most countries provide their citizens with a vaccination card, mentioning the vaccines you/your child have had and when the next vaccines are due. It is essential to ensure that these vaccines are up to date.

Delaying vaccination increases the risks of falling sick. If we wait until we think we may be exposed to a serious illness – for instance, during a pandemic outbreak – there may not be enough time for the vaccine to work or receive the recommended doses.

Are there side effects from vaccines?

Like medicines, vaccines too may cause mild side effects, such as a low-grade fever, redness, or pain at the injection site. Mild reactions usually go away on their own within a few days. Severe, long-lasting side effects are rare. Vaccines are continually monitored to detect rare adverse events.

Can a child be given more than one vaccine at a time?

Studies show that administering several vaccines at the same time usually has no negative effect. Children are exposed to several foreign substances that trigger an immune response daily. The simple act of eating introduces new germs into a child’s body and numerous bacteria live in the mouth and nose.  Administering a combined vaccination (e.g. for pertussis, tetanus, and diphtheria) indicates fewer injections and reduced discomfort for the child.

I still have questions about vaccination. What should I do?

If you still have questions about vaccines, talk to your healthcare worker. He/she can provide you with evidence-based advice about vaccination for you and your children, including the recommended vaccination schedule prevalent in your country.

When looking online for information regarding vaccination, consult reliable sources. WHO has reviewed and certified several websites that provide information based on trustworthy scientific evidence and independent reviews by experts. All these websites are members of the Vaccine Safety Net.

Sources:

  • WHO
  • CDC
  • UNICEF

Myths about Vaccination & Immunization Busted!

Vaccines are one of the greatest inventions of mankind – yet there is a lot of misinformation regarding the same. Here are the facts behind some common vaccine myths.

Read more in Bengali

প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধের একটাই উপায়। আর সেটা হল- টিকা। মানে সঠিক সময়ে সঠিক টিকা নেওয়া।

ভাইরাস অথবা ব্যাকটিরিয়ার মাধ্যমে যে সব প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ে, সেই রোগের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অথবা ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলে একটা সুরক্ষা কবচ তৈরি করে টিকা। তাই বাচ্চার জন্মের পর টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব শিশুর টিকাকরণ হয় না। আর সেটা শুধুমাত্র অভিভাবকের অজ্ঞতার কারণে।
অনেকেই মনে করেন, টিকা ক্ষতিকর এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সন্তানের জীবনহানিও হতে পারে। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। হাম, ডিপথেরিয়া, পোলিও, রুবেলা, মাম্পস এই ধরনের রোগের টিকা এখনও অনেকেই নিতে চায় না। কিন্তু এই সব রোগ প্রতিরোধকারী টিকা নিয়ে নিলেই কিন্তু নিশ্চিন্ত।

এটা শুধু আপনার সন্তানকে নয়, পরের প্রজন্মকেও সুরক্ষিত রাখবে। কারণ ব্যাপক হারে টিকাকরণ হলে কিন্তু রোগ ছড়াতে তো পারেই না, এমনকী রোগ বিলুপ্তও হয়। এই যেমন- জলবসন্ত। এখন কি কাউকে জলবসন্তের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়? একেবারেই না। কারণ টিকাকরণ সঠিক ভাবে হওয়ার দরুন এই রোগ মুছে গিয়েছে। ফলে বুঝতেই পারছেন, টিকা কতটা জরুরি আপনার সন্তানের জন্য। তাই এর সঙ্গে জেনে নিন, টিকা সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণাগুলি। আর সত্যিটাও!

টিকা সংক্রান্ত কয়েকটি তত্ত্ব এবং তথ্য:

তত্ত্ব- হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস প্রভৃতি রোগ একেবারেই গুরুতর নয়।

তথ্য- উপরের প্রতিটি রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা নেওয়া। কারণ এই রোগগুলি খুবই গুরুতর। তার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, হাম, হুপিং কাশি, মাম্পস, টিটেনাসের মতো রোগ কিন্তু এখনও ছড়ায়।

তত্ত্ব হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়ার মতো রোগ আর ছড়ায় না, তাই আমার বাচ্চার আর টিকার দরকার নেই।

তথ্য এই সব রোগ এখন বিরল। কিন্তু এই রোগ এখনও ছড়ায়। আর টিকাকরণের হার যে-ই কমবে, তখনই কিন্তু এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করবে। এতে কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়বে আপনার পরের প্রজন্মও।

তত্ত্ব অন্যরা তো টিকা নিচ্ছেই, আমার বাচ্চাকে আর টিকা দেওয়ার দরকার নেই।

তথ্য আপনার বাচ্চারও টিকার প্রয়োজন। মানে প্রত্যেকের জন্যই টিকা অত্যন্ত জরুরি। ধরে নিন, অনেকেই আপনার মতো গা-ছাড়া মনোভাব নিচ্ছেন। তার ফলে কম সংখ্যক শিশুরই টিকাকরণ হবে। আর তাতে কিন্তু রোগ সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়াবে।

তত্ত্ব আমার বাচ্চা তো স্তন্যপানের উপর আছে, তাই ওর কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনাই নেই।

তথ্য স্তন্যপান কিন্তু কোনও টিকার পরিপূরক নয়। স্তন্যপান নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে পারে। তবে খুব সীমিত সংখ্যক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবে স্তনদুগ্ধ। তাই স্তন্যপান করলে আর টিকার দরকার নেই, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল।

তত্ত্ব এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে অটিজম হয়।

তথ্য একদমই না। এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বহু বড় বড় গবেষণায় এই ভ্যাকসিন আর অটিজমের কোনও যোগসূত্র মেলেনি।

তত্ত্ব টিকায় থাকা থাইমেরোসালের জন্য অটিজম হয়।

তথ্য অটিজম বা অন্য ডিজঅর্ডারের সঙ্গে থাইমেরোসালের যোগসূত্র আছে, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। বহু বিজ্ঞানীই এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বহু দিন ধরে। কিন্তু কোনও যোগসূত্রই তাঁরা খুঁজে বার করতে পারেননি। তবে আর একটা বিষয় হল, বহু বছর ধরেই শিশুদের টিকায় আর থাইমেরোসালের ব্যবহার হয় না।

তত্ত্ব শরীরের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানই সব চেয়ে ভাল। আলাদা করে কোনও টিকার দরকার নেই।

তথ্যসব ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। যে সব ক্ষতিকর জীবাণুকে রুখতে টিকাকরণ হয়, সেই সব জীবাণু কিন্তু প্রকৃতিরই অংশ। আর এটাও জেনে রাখুন, টিকাও কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই তৈরি হয়।

তত্ত্ব টিকা কতটা নিরাপদ তা যথেষ্ট ভাবে পরীক্ষা করা হয় না।

তথ্যটিকা পুরোপুরি ভাবে নিরাপদ। অন্যান্য ওষুধের মতোই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই টিকা ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না, সেই দিকেও নজর রাখা হয়।

Vaccination: A Gift for a Lifetime

Nothing concerns you more than the safety of your child – and getting them vaccinated on time will help in protecting her or him against various diseases.

Read more in Bengali

Five important topic for tika

সন্তানের জন্মের পর সব মা-বাবাই লক্ষ করবেন যে, ডাক্তারবাবু একগাদা টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু মা-বাবাদের মনে হতেই পারে যে এত টিকার দরকারটা কোথায়? শুধু শুধু  এত টিকা নিয়ে বাচ্চার লাভটাই বা কী হবে? তার থেকে বরং কিছু টিকা বাদ দিলেও ক্ষতি নেই!

প্রথমেই এই প্রসঙ্গে বলে রাখি যে, আপনার বাচ্চার জন্মের পর ডাক্তারবাবু যে টিকাগুলো নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তা অত্যন্ত জরুরি এবং অপরিহার্য। যাতে বাচ্চা রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। আর রোগ সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়তে পারে। কিন্তু সমস্যাটা এখানেই! বেশির ভাগ অভিভাবকেরই এই বিষয়ে একটা গা-ছাড়া মনোভাব দেখা যায়। আর এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানটা জানলে অবাকই হতে হয়! প্রতি ৫ জন শিশুর মধ্যে ১ জনের টিকাকরণ হয় না। আর প্রতি বছর ডিপথেরিয়া, হাম, টিটেনাসের মতো রোগে প্রায় ১৫ লক্ষ শিশু মারা যায়। শুধু তা-ই নয়, হেপাটাইটিসের মতো রোগ থেকে সুরক্ষিত নয় লক্ষ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্কও!

ফলে বুঝতেই পারছেন, নিজের সন্তানের স্বার্থে টিকাকরণ কতটা জরুরি। প্রত্যেক মা-ই চায়, নিজের সন্তানকে সুস্থ ও সুন্দর একটা জীবন দিতে। সন্তান যাতে সব থেকে ভালটা পায়, সে দিকেই সব সময় বাবা-মায়ের কড়া নজর। তাই সন্তানকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে রোগ থেকে সুরক্ষিত করবেন সবার আগে। এ ভাবেই তাকে তার জীবনের সব থেকে বড় উপহারটা আপনিই দিতে পারবেন!
আর এর জন্য দরকার সঠিক সময়ে সঠিক টিকাকরণ। জেনে নিন, টিকাকরণ আপনার সন্তানের জন্য অপরিহার্য কেন?

টিকাকরণ আপনার সন্তানের সুরক্ষা কবচ:

আগে বহু রোগের কোনও ওষুধ অথবা টিকা ছিল না। ফলে সেই সব রোগ বহু শিশুর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আমরা সে দিক থেকে বেশ ভাগ্যবান! কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান আগের থেকে অনেক উন্নত। ফলে আগে যে সব রোগে মানুষ মারা যেত, সেই সব ভয়াবহ রোগ থেকে আমরা পুরোপুরি সুরক্ষিত। আর তার মূল কারণটাই হল সেই রোগের সঠিক টিকা আবিষ্কার। যেমন, আগে পোলিও রোগ একটা বড় সমস্যার কারণ থাকলেও এখন সঠিক টিকাকরণ হলে কিন্তু শিশুকে পোলিও রোগ থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

টিকা নিরাপদ কার্যকরী:

গবেষক, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও ডাক্তারদের বারংবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই টিকা বাজারে ছাড়া হয়। এমনকী প্রয়োগের পরে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও নজর রাখা হয়। এত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ব্যবহারের জন্য ছাড়া পায় টিকা। বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় ব্যথা হতে পারে। ইঞ্জেকশন ফোটানো জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে যেতেও পারে। তবে এই ভ্যাকসিনগুলি যে সব রোগ প্রতিরোধ করে, সেই সব রোগের জ্বালা যন্ত্রণার তুলনায় কিন্তু টিকা নেওয়ার যন্ত্রণা অনেকটাই কম। আর টিকাকরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুবই বিরল।

টিকাকরণ আপনার সময় টাকা বাঁচাবে:

টিকাকরণে প্রতিরোধ করা যায়, এমন রোগ হলে তার স্কুল তো কামাই হবেই। আর তাকে নিয়ে ছোটাছুটি করতে আপনারও কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এমনকী এই ধরনের রোগ দীর্ঘস্থায়ীও হয়। সে ক্ষেত্রে আর্থিক দিকটা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করতে হয়। তাই আমরা যেমন টাকা-পয়সা অনেক ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করে থাকি, টিকাকরণের ক্ষেত্রেও ঠিক সে রকমই। নিজের এবং সন্তানের জন্য না-হয় টিকাকরণেই বিনিয়োগ করবেন।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাবে টিকাকরণই:

এই যেমন আমাদের কয়েক প্রজন্ম আগেও যে রোগগুলিতে শিশুরা মারা যেত অথবা বিকলাঙ্গ হয়ে যেত, সেই সব রোগগুলিকে টিকার মাধ্যমে একেবারেই কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী সারা বিশ্বেই কিছু কিছু রোগ তো এই টিকার জন্য বিলুপ্ত হয়েছে। যেমন জলবসন্তের কথাই ধরা যাক। এখন কি কোনও শিশু জলবসন্তে আক্রান্ত হয়? একেবারেই নয়। কারণ সারা বিশ্ব থেকেই এই রোগ একেবারেই মুছে গিয়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে টিকাকরণের জন্যই। আবার ধরা যাক রুবেলা রোগের কথাই। গর্ভবতী মায়ের থেকেই ভ্রূণে অথবা সদ্যোজাত শিশুর মধ্যে এই রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। আর টিকাকরণের মাধ্যমেই সেই ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। এখন থেকেই অভিভাবকেরা যদি ব্যাপক হারে সঠিক টিকাকরণ শুরু করেন, তা হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিন্তু সুরক্ষিত থাকবে।

আপনার প্রিয়জনের জন্যও টিকাকরণ জরুরি:

অনেক ক্ষেত্রে একেবারে ছোট শিশুরাও ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়, এমন রোগে আক্রান্ত হয়। মানে টিকাকরণের উপযুক্ত বয়স হয়নি তাদের। আবার অনেকের  মারাত্মক অ্যালার্জি, লিউকেমিয়ার মতো রোগ থাকলে তাদের টিকাকরণ সম্ভব না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের নিরাপদে রাখার দায়িত্বও কিন্তু আপনার। কী ভাবে? আপনার ও আপনার সন্তানের টিকা নেওয়া রয়েছে। ফলে আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও ভাল। তাই ওই ধরনের রোগ আপনাদের থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। এতে আপনার পরিবার ও প্রিয়জনরাও সুরক্ষিত থাকবে।

এ বার আসি আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কথায়। আমরা কোভিড ১৯-এর মতো মহামারির সঙ্গে লড়াই করে চলেছি। স্বাভাবিক জনজীবনও ব্যাহত। আমরা কেউই জানি না যে, কবে ছন্দে ফিরব আমরা। আর এই মহামারির কোনও ওষুধই আবিষ্কার করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তার জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন গবেষকেরা। আর এর টিকা বেরোতেও যথেষ্ট সময় লাগবে বলেই মত গবেষকদের। তাই যত ক্ষণ না এই করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হচ্ছে, তত দিন কিন্তু আমাদের ইমিউনিটি বুস্টিং বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা মাথায় রাখতে হবে। না হলে কিন্তু এই ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে পারব না। আর শিশুদের ক্ষেত্রেও এই দিকটা নজরে রাখতে হবে। কারণ দেখা যায়, আজকাল বহু শিশুরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।

আসলে এখন ফার্স্ট লাইফের যুগ। আর তার জাঁতাকলে পড়ে পিষছে শিশুরাও। আগেকার দিনের মতো খেলাধূলা বা বিকেলে বাইরে ঘুরতে বেরোনো প্রায় হয়ই না তাদের। বাড়িতে চার দেওয়ালের মধ্যেই ভিডিও গেম অথবা কম্পিউটার গেম, কার্টুনেই মজে থাকে আজকালকার বাচ্চারা। শরীরচর্চা সে ভাবে হয় না। তার পর পড়ার চাপ, নাচ-গান-ক্যারাটে-আঁকা শেখার চাপতো আছেই। ফলে মনের উপর চাপ বোঝার মতো বাড়তে থাকে খুব ছোট বয়স থেকেই। আর এগুলোরই প্রভাব ফেলে ওদের ইমিউনিটিতে। আসলে সন্তানকে বেস্ট লাইফস্টাইল দিতে গিয়ে আমরা মা-বাবারাই কিন্তু তাদের জীবনে বিপদ ডেকে আনছি অজান্তেই। তাই বাচ্চাদের জন্য সঠিক টিকাকরণের সঙ্গে সঙ্গে ইমিউনিটি বুস্টিংও অত্যন্ত জরুরি।

Tips on How to Make Face Masks at Home!

Home-made masks can be just as effective in preventing the spread of coronavirus. Here is how you can prepare masks out of the fabric by yourself.

Read more in Bengali

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)-এর থাবায় কার্যত বিধ্বস্ত গোটা বিশ্বই। থমকে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবনও। ইতিমধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। আর লকডাউন তো চলছেই। এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাইরে বেরোলে রীতিমতো ধরপাকড়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা প্রয়োজনে বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁদের জন্যও প্রচুর বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে মাস্ক পরার বিষয়টা নিয়ে একটা সংশয় ছিল। এ বার সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, বাইরে গেলে সকলকেই মাস্ক পরতেই হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যাঁরা বাস করেন, তাঁরা বাইরে বেরোলে মাস্ক পরতেই হবে বলে জোর দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

শুধু তা-ই নয়, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ওড়িশার মতো রাজ্যে মাস্ক পরার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে জানানো হয়েছিল, বাইরে মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে তাঁকে শাস্তির মুখেও পড়তে হবে। এ বার সেই পথে হাঁটল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গও। রবিবার এক নির্দেশিকায় নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। আর না পরলে শাস্তি পেতে হবে। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাস্তায় বেরোলে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। মাস্ক না থাকলে বড় রুমাল বা ওড়না ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু আপনার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে, এখন মাস্ক কোথায় পাবেন। সব ওষুধের দোকানেই প্রায় আউট অফ স্টক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ঘরে তৈরি মাস্ক হলেও চলবে। জেনে নিন, মাস্কের বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা আর বাড়িতে কী ভাবে মাস্ক বানাবেন।

পুরনো নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছিল:

  • যাঁরা কোভিড ১৯ এবং কোনও রকম সংক্রমণ (জ্বর, সর্দি, কাশি)-এ আক্রান্ত, তাঁরা মাস্ক পরবেন।
  • মাস্ক ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
  • সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন নেই।

যে হেতু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাই তড়িঘড়ি নির্দেশিকায় বদল এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এড়ানো যায়। অথচ মাস্ক বাজারে সে ভাবে মিলছে না, আর মিললেও দাম প্রচুর বেড়ে গিয়েছে। তাই ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্কই ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কী বলছে নয়া নির্দেশিকা?

  • এ বার থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা মাস্ট।
  • সার্জিক্যাল মাস্ক না হলেও চলবে, ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। কারণ কাপড়ের মাস্ক আরামদায়কও বটে।
  • পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরলেও চলবে। অর্থাৎ এমন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যা প্রতি বার ব্যবহারের পরেই ভাল করে কেচে রোদে শুকিয়ে নেওয়া যাবে।
  • পরিবারের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা মাস্ক। অর্থাৎ এক জনের মাস্ক অন্য জন ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য ২টো করে মাস্ক বানিয়ে নিতে হবে।

কী ভাবে ঘরেই বানাবেন মাস্ক?

  • আপনার মুখের মাপ অনুযায়ী সমান মাপের ২টো করে সুতির কাপড় বা রুমাল নিন। অথবা কাপড়ের যে ব্যাগ হয়, তার টুকরো হলেও চলবে। এ বার কাপড়টাকে গরম জলে অথবা গরম জলে নুন দিয়ে ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তা হলে জীবাণু চলে যাবে।
  • এ বার সমান মাপের কাপড়ের টুকরো ২টো একটার উপর আর একটা বসিয়ে সেলাই করে নিতে হবে।
  • সেলাই করা হয়ে গেলে এ বার কাপড়ের টুকরোটাতে পরপর ছোট ছোট প্লিট বা ভাঁজ করে নেবেন।
  • এ বার সেই ভাঁজগুলোর দুই পাশ দিয়ে সেলাই করে নেবেন। মাস্ক মোটামুটি তৈরি। শুধু ব্যান্ড লাগানোর অপেক্ষা।
  • এর পরে ২ টুকরো ইলাস্টিক নিয়ে মাস্কটির ভিতরের অংশের ২ পাশ দিয়ে সেলাই করে বসিয়ে দিন। ব্যস, ব্যবহারের জন্য একদম রেডি আপনার মাস্ক।

Coronavirus: Origin, Symptoms, and Prevention

A new pneumonia-like virus, first identified in Wuhan, China, is putting people all over the world on edge. Most of the confirmed cases are from China but the virus has since spread to other parts of the world, including Europe, Australia, and India. At this writing, over 2,000 new cases have been recorded in China over the past 24 hours, raising the worldwide total to nearly 9,800, according to World Health Organization (WHO) and Chinese data. India reported the first positive case of novel coronavirus on Thursday (30 January 2020). The patient is a student at Wuhan University and is now in isolation in a hospital in Kerala.

With information about the new virus changing quickly and news reports about the illness seeming to raise the stakes, you must be wondering how worried you should be. Here’s what we know about the virus so far and what it means for you.

What is the coronavirus?

The new virus, identified by scientists as 2019-nCoV, is a coronavirus, belonging to a family of viruses, including common cold and more serious diseases like Severe Acute Respiratory Syndrome (SARS). It is not clear how deadly the new virus is. Although, severe cases can cause pneumonia or even death, there are cases of milder ones going undetected.

What are the common symptoms of coronavirus?

Per the CDC, people who’ve had confirmed cases of novel coronavirus usually experience the following symptoms:

  • Fever
  • Shortness of breath
  • Cough

Symptoms can appear within two days to two weeks after an individual has been exposed, and they range from mild illness to severe cases. However, the elderly, very young, pregnant women, or people with a weak immune system may develop a more serious infection, such as pneumonia or bronchitis.

How is it treated?

Scientists are continuously researching the virus. As of yet, there are no approved antivirals for the coronavirus. For patients suffering from the illness, extensive, specialized care in an intensive care unit (ICU) may be lifesaving.

Can pets at home spread the coronavirus?

There’s no evidence so far that pets are infected with the coronavirus. However, it’s a good practice to wash hands after contact with pets. This protects us against common bacteria like E.coli that can easily be transmitted from pets to humans.

Are antibiotics effective in preventing/treating the coronavirus?

No, antibiotics cannot provide protection against viruses. They can fight bacteria. The new coronavirus is a virus and, therefore, antibiotics cannot offer prevention nor be used as part of treatment. However, if hospitalized, you may be given antibiotics to prevent bacterial co-infection.

I’m pregnant. Should I be concerned?

According to infectious disease specialists, during pregnancy, parts of the immune system are depressed, making you more susceptible to virus-related complications such as chickenpox and influenza. For instance, pregnant women are almost 3.5 times more likely to end up in the hospital from the flu compared to women who are not expecting, according to research published in the Journal of Infectious Diseases in June 2019. In the case of coronavirus, a pregnant woman tends to be at a higher risk of complications than a non-pregnant one.

Are there any steps parents need to take at this point?

Experts are still unclear on how exactly the virus is transmitted. But at this point, you should take steps you’d otherwise have taken to protect yourself and your children from common flu. Encourage kids to wash their hands frequently and thoroughly with soap and water for at least 20 seconds. Hands should be washed before eating food, after using the washroom, after coming home from outdoors or touching something dirty like garbage. If you see someone coughing or sneezing, keep your children away from them. Respiratory secretions from coronaviruses cannot travel more than six feet. While you may see people in Wuhan wearing surgical masks outdoors, it is not mandatory to make your kid wear one right now.

Other than these, you can also undertake the following measures suggested by WHO:

  • Seek medical care and share travel history with the healthcare provider if you have cough, fever, and difficulty breathing
  • Avoid unprotected contact with animals and those surfaces that are in contact with animals when visiting areas experiencing cases of coronavirus
  • Don’t consume raw or under-cooked animal products
  • Handle milk, raw meat, or animal organs carefully

Given the pace of international travel, the number of people suffering from the originating illness is likely to increase. Wuhan has been put to virtual quarantine to prevent further spread of coronavirus. Foreign governments are advising against non-essential travel to China. Citizens are being flown out of the country at the same time. As more information about the virus becomes available, public health organizations like WHO and CDC will share insights and other valuable information worldwide.

HIV-infected Women Can Also Give Birth To Healthy Children

With early detection and treatment during pregnancy, HIV positive women can give birth without passing on the disease to their baby.

Read more in Bengali

অনন্যা অন্য নারীদের মতো নন – তিনি এইচআইভি পজেটিভ। মা হতে পারবেন কিনা আর হলেও, সুস্থ সন্তানের জন্ম হবে কিনা তা নিয়ে অনন্যার মনে সংশয় ছিল।  তাই তিনি দ্বারস্থ হন এক এনজিওতে  এইচআইভি পজিটিভদের নিয়ে কাজ করে এমন এক বান্ধবীর কাছে। সেই বান্ধবীর কাছে অনন্যা জানতে পারে, এইচআইভি পজিটিভ নারীরাও সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। এরপর ওই বান্ধবীর সাথে দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে যান। সেখানে এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। এর আরো চার বছর পর তার জন্ম নেয় দ্বিতীয় সন্তান। অনন্যার দুটি সন্তানই সুস্থ আছে এবং স্বামী, সন্তানদের নিয়ে ভালোই জীবন কাটাচ্ছেন অনন্যা।

অনন্যা ও তার স্বামী অরিজিৎ জানান, ‘আমরা যে কখনো মা বাবা হতে পারবো তা কল্পনাই করতে পারিনি।’

এইচআইভিতে আক্রান্ত নারীদের মা হওয়ার বিষয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এইডস আক্রান্ত মা-ও চাইলে সন্তান জন্ম দিতে পারেন তবে সেজন্য কিছু ওষুধ আছে যা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খেয়ে চলতে হবে।

তারা এটাও জানিয়েছেন যে কোনও মায়ের এইচআইভি ভাইরাস থাকলে তার মাত্রা কত তারা প্রথমে সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর তাকে এন্টি ভাইরাস ইনজেকশন দেওয়া হয় যাতে মায়ের থেকে শিশুর মধ্যে যখন ভার্টিক্যাল ট্রান্সমিশন ঘটে তখন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার গর্ভধারণের পরও যদি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয় শিশুটি তবে তাকে যাতে নিরাপদ রাখা সম্ভব হয়।

অনন্যা জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই তার চিকিৎসকের কাছে নিয়মিত চেকআপ চালিয়ে গেছেন। এন্টি রেক্ট্রোভাইরাল মেডিসিন দেওয়া হয়েছিল তাকে। সন্তানের জন্মের পরপর রক্ত পরীক্ষা করার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন যে শিশুটি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত না।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম সন্তান ছেলের জন্মের তিন সপ্তাহ পর তাকে আবার পরীক্ষা করা হলো। এভাবে দীর্ঘ ২০ মাস পরীক্ষা চলেছিল। শেষে ডাক্তাররা আমাকে জানায়, আমার সন্তান এইচআইভি ভাইরাসমুক্ত। দ্বিতীয় সন্তান, মেয়েটির বেলায়ও একই প্রক্রিয়া চলেছিল।’

কাজেই মনে রাখবেন, মায়ের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এন্টি ভাইরাস টিকা দেওয়া হলে এই রোগ থেকে সন্তানকে মুক্ত রাখা যেতে পারে। এইচআইভি পজিটিভ বা এইডস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত চিকিৎসা নিলে তিনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে এইডসে আক্রান্ত বা এইচআইভি পজিটিভ মায়েরা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবে কিনা সেই নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। প্রথম কথা এই যে, বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে কারণ না খাওয়ালে, শিশু পুষ্টিহীনতা, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে। তবে মায়ের বুকে যেন ক্ষত না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার।

আরো জানতে চোখ রাখুন এই সেক্শনে|

How Serious Is Gestational Diabetes?

During pregnancy, some women may be at risk of gestational diabetes. The condition raises blood sugar levels, possibly leading to certain complications.

Read more in Bengali

মহিলারা সাধারণত দুইভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। প্রথমটি গর্ভ সঞ্চারের আগে থেকেই ডায়াবেটিস, দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মদানের পর সেরে যেতে পারে। পরবর্তীকালে এইসব মায়ের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়।

সকালে খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ৬.১ মিলিমোল/লিটার (১১০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা বেশী অথবা ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ার ২ ঘণ্টা পরে ৭.৮ মিলিমোল/লিটার (১৪০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) বা তার বেশী হলে সেটিকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হিসেবে সনাক্ত করা হয়।

ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগের সাথে আমরা কম-বেশি পরিচিত। কিন্তু গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি এবং এর জটিলতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। এ ব্যাপারে আমার কিছু অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছি:

মিসেস পৃথা মুখার্জী, বয়স ৩৭ বছর। প্রথম সন্তান জন্মের আট বছর পর পুনরায় গর্ভধারণ করেছেন, কিন্তু প্রথমবারের মতো চেকআপে এলেন সাড়ে সাত মাস গর্ভাবস্থায় (৩২ সপ্তাহ), পেট অস্বাভাবিক বড় হয়ে যাচ্ছে। প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই হয়নি তার তাই এবারো গর্ভাবস্থায় শুরুর থেকে কোনো ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। ডাক্তারের কথায় পরীক্ষা করে দেখা গেল রক্তে সুগার খালি পেটে ১৩ (13 mmol/L) ও খাবার গ্রহণের পর ২৬ (26 mmol/L); যা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকেই সাধারণত হয়ে থাকে। আল্ট্রাসনোগ্রামে দেখা গেল যে সন্তানের জলের  (Amniotic fluid) পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। সাথে সাথেই দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি হলেন. সেখানেই ইনসুলিনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা হলো|

একই ধরনের অন্য একজন রোগীর – সুনীতি সেন – সন্তান ডেলিভারির পর দেখা গেল, তার বাচ্চার দুধপান বা কান্নার সময় নীল হয়ে যায়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেল সন্তানের হার্টে একটি ফুটো। এটির একটি মূল কারণ হলো বাচ্চার মায়ের প্রথম তিন মাস অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস|

উপরোক্ত ঘটনাগুলি আপনাদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্য হলো ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। বিশেষত গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কোনোভাবেই অবহেলা করবেন না। সাথে এটাও বলি যে –  যার কখনোই ডায়াবেটিস ছিল না, তারও গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?

তুলনামূলকভাবে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তাদের যাদের:
১. পারিবারে যদি কারুর ডায়াবেটিস থাকে তাদের (মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদু-দিদা)
২. আগে অধিক ওজনের (চার কেজি বা বেশি) সন্তান অথবা ত্রুটিযুক্ত সন্তান জন্মদানের ইতিহাস থাকলে
৩. অজ্ঞাত কারণে পেটে অথবা জন্মের পরপরই সন্তান মারা যাওয়ার ইতিহাস থাকলে
৪. বারবার সন্তান নষ্ট হওয়ার (অ্যাবরশন) ইতিহাস থাকলে
৫. গর্ভাবস্থায় সন্তানের জলের পরিমাণ (অ্যামনিয়াটিক ফ্লুইড) অতিরিক্ত হলে
৭. বয়স ৩০ বছরের বেশি বা শরীরের ওজন অতিরিক্ত হলে
৮. পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে।

ডায়াবেটিসে মা গর্ভস্থ শিশুর সম্ভাব্য জটিলতা
১. অ্যাবরশন বা প্রথম তিন-চার মাসের মধ্যেই সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়া
২. রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে প্রি-একলাম্পসিয়া বা অন্যান্য জটিলতা
৩. ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া ও তার কারণে সময়ের আগে জল ভেঙে যাওয়া
৪. সন্তানের ওজন বেশি হওয়ায় ডেলিভারির জটিলতা
৫. ডেলিভারি-পরবর্তী ইনফেকশন, সন্তান পর্যাপ্ত দুধ না পাওয়া, ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিসের লক্ষণ

গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিসের এরম কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষণ নেই যা দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে। সাধারণত ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভকালীন চেকআপে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাপা হয় তখনই ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়। কিন্তু আপনার ডাক্তার যদি মনে করেন আপনার ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি আছে তাহলে প্রথম চেকআপেই ডায়াবেটিস পরিক্ষা করার কথা বলতে পারেন। তবে কয়েকটি কারণ শনাক্ত করা হয়েছে যেই কারণে গর্ভকালীন সময় ডায়াবেটিস হতে পারে-

  • বার বার তৃষ্ণা পাওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া
  • অস্বাভাবিক ক্লান্তি
  • ঘনঘন যোনিমুখে থ্রাশ বা ইস্ট ইনফেকশন হওয়া

তবে এই লক্ষণগুলি বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তাই আপনার গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস হয়েছে কি না জানার একটাই উপায় – রুটিন ব্লাড গ্লুকোজ টেস্ট। গর্ভাধারণের পর প্রথম চেকআপে এই টেস্ট করা উচিত এবং গর্ভের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহে পুনরায় করা প্রয়োজন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের চিকিৎসা

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হলে তা শুরুর থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি কেননা, নিয়ন্ত্রণ না হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটি জটিল আকার ধারণ করে।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের এমন খাবার দিতে হবে যা তাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খাবারের পুষ্টিগুণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়ম মাফিক খাদ্য গ্রহণ অতিঅবশ্যিক প্রয়োজনীয়।

যদি হাঁটতে কোনো নিষেধ না থাকে তবে হবু মাকে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকেi মনে করেন, গর্ভকালীন হাঁটাহাঁটি করা যায় না। কিন্তু জটিলতা না থাকলে, আধা ঘণ্টা হাঁটতে পারেন তিনি।

এর মাধ্যমে মায়ের শরীর গর্ভধারণের জন্য তৈরী হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। আর তাতেও যদি না হয়, তখন ইন্সুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মায়েদের অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের ফলোআপে থাকতে হবে। আর গাইনোকোলজিস্ট যদি একা না পারে, তবে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট বা ডায়বেটোলজিস্টের কাছেও যেতে হবে।

জন্মের পরপরই এবং প্রতি ১ ঘন্টা পর পর বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিৎ কারণ বুকের দুধ শিশুর রক্তে গ্লুকোজের সঠিক মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আর সাথে সাথেই  রক্তে গ্লুকোজ পরিমাণমতো না থাকায় যেসব সমস্যা হয় তা থেকে বাঁচায়।

জটিলতা এড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখবেন:

১. পরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভধারণের আগে প্রি-কনস্পেশন কাউন্সেলিং অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া 

২. মাসিক বন্ধ হলে দ্রুত গর্ভাবস্থা নির্ণয়ের পরীক্ষা করা

৩. গর্ভাবস্থা নির্ণয়ের পরপরই নিয়মিত চেকআপে থাকা

৪. ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ডায়েট প্ল্যানিং এবং প্রয়োজনে নিয়মিত ইনসুলিন নেওয়া 

৫. ইনসুলিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তের সুগার চেক করা

৬. গর্ভাবস্থায় ও পরবর্তী জটিলতা সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

সব শেষে বলি, ডায়াবেটিস একটি জটিল কিন্তু নিয়ন্ত্রণযোগ্য রোগ। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে মা ও সন্তানের জটিলতা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

Intracytoplasmic Sperm Injection (ICSI)

Male infertility is a term generally used by doctors if a man hasn’t been able to get a woman pregnant after at least one year of trying. Male infertility is a result of low sperm production, abnormal sperm function, or blockages that prevent the delivery of sperm. The causes can be classified into the following categories:

  • Absence of sperm in the semen possibly due to a blockage
  • Low sperm count, poor sperm quality, and/or abnormal sperm shape and movement
  • Sperm unable to penetrate through the outer layer of the egg or produce anti-sperm antibodies
  • Immunological or genetic disorders

Several treatments are available for improving the chances of conception in men suffering from infertility. These usually include intrauterine insemination (IUI), donor insemination (DI), intracytoplasmic sperm injection (ICSI), and testicular sperm retrieval (TESA). Intracytoplasmic sperm injection (ICSI) allows the egg and the sperm to be brought together directly, facilitating fertilisation. A sperm that has low motility or poor morphology is likely to have a greater possibility of achieving this through ICSI.

Generally, 15 million or 1.5 crores per millilitre is considered to be the normal sperm count. Below 10 million per millilitre is considered poor. Movement is rated from 0-4 and a score of 4 is considered to be good. The size and shape of the sperm can affect the ability of sperms to fertilize an egg. 40% is considered normal. Fertility treatment is required if tests show that sperm count, motility, or shape has dropped beyond the abovementioned counts.

A sperm count of 80 lakhs to 1 crores, motility of 30%, and 4% normal form are considered to be the threshold to undergo Intrauterine Insemination (IUI). However, if the sperm count, motility, and forms drop further, then intracytoplasmic sperm injection (ICSI) remains the only option. It may so happen that a man may have sufficient sperm count but not enough amount of mature sperms. In such cases, testicular sperm retrieval (TESA) is first used to retrieve a small amount of testis tissue to recover sperm followed by ICSI, injecting the sperm directly inside the egg.

In the year 1978, Dr. Subhash Mukhopadhyay created the world’s second and India’s first test-tube baby. During 1981-86, along with Dr. Baidyanath Chakrabarti gave birth to the second test-tube baby using IVF. And in March 1995, under the sole stewardship of Dr. Sudarsan Ghosh Dastidar, the first ICSI baby was delivered.

Non-smokers Are Also At Risk Of Lung Cancer!

Lung cancer is no longer a smoker’s disease. Passive smoking, air pollution & other factors are to blame for the increasing number of cases in non-smokers.

Read more in Bengali

২৮ বছরের প্রিয়াঙ্কা পেশায় অ্যাডভারটাইজিং সংস্থার কর্মী৷ দক্ষিণ কলকাতার নামকরা এক বেসরকারি হাসপাতালে রক্তবমি নিয়ে ভর্তি হয়েছে এই এক সপ্তাহ আগে৷ তরুণীর  বাবাও মারা গিয়েছিলেন ২০১৬ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে| বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত এই স্মোকার|

শিপ্রা সেন ৫০ বছরের এক গৃহবধূ৷ খুসখুসে কাশি হয়েছিল আগের বছরের গোড়ায়| নানা ওষুধে কাজ না-হওয়ায় ফুসফুস রোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হন তিনি৷ ধরা পড়ে, ফার্স্ট স্টেজ ফুসফুসের ক্যান্সার৷ অথচ, ধূমপান দূরস্থান, কোনো দিন তামাকজাতীয় কোনও বস্তুও ছুঁয়েই দেখেননি তিনি৷ পরে জানা গেল যে ওনার স্বামী নিয়মিত ধূমপান করেন| অধিকাংশ সময় বাড়িতেই ধূমপান করেন তিনি|

বছর পঁয়ত্রিশের এক তরুণ | পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী৷ গত চার সপ্তাহ আগে থেকে বেশ কাশি হচ্ছে এই নন স্মোকারের অথচ ঠান্ডা ও লেগে নেই||চেস্ট এক্সরেতেই ধরা পড়লো ফুসফুসের ক্যান্সার| অদ্ভুত ব্যাপার যে কখনই সিগারেট ছুঁয়ে দেখেনি বা বাড়ির কাউকেই ছোট থেকে সিগারেট খেতে দেখেনি|

ধূমপান করেন যে পুরুষেরা, তাদের মধ্যে ক্যান্সারের শীর্ষে যে রয়েছে ফুসফুস ক্যান্সার, তা জানা ছিল৷ কিন্তু আজকাল নন স্মোকাররাও এই অসুখের শিকার হচ্ছেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে| কারণ –  ধূমপান এবং পরিবেশ দূষণ৷ প্যাসিভ স্মোকিং যদি এর একটি কারণ হয়, তবে আর একটি কারণ অবশ্যই পরিবেশ দূষণ।

এই কয়েকদিন আগেই খবরের কাগজে পড়লাম এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (এ কিউ আই) ২০০ মাত্রা ক্রস করে ফেলেছে | আর সেটির আরো অবনতি ঘটেছে দীপাবলির পর| রেডিওথেরাপিস্টরা বলছেন বায়ুদূষণের মাত্রা শহরে বহুগুণ বেড়েছে৷ কলকাতার বাতাসে যে ধূলিকণা ঘোরাফেরা করে, তার মধ্যে সালফারের উপস্থিতি বেশ বেশি৷ আর তা ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণ৷

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ৩৪.৬% প্রাপ্ত বয়ষ্কদের মধ্যে ৪৭.৯ % পুরুষ ও ২০.৩% নারী ধূমপান করেন | যথেষ্ট সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যেও ক্রমশই বেড়ে চলেছে ধূমপানের প্রবণতা রয়েছে যা যথেষ্ট উদ্বেগের৷

এই মারণরোগের বীজ রয়েছে মূলত তামাকের ধোঁয়ায় থাকা ক্ষতিকারক নিকোটিন-সহ অন্যান্য উপাদানে। আসলে, বিড়ি বা সিগারেটের একটানে শরীরে যতটা নিকোটিন পৌঁছয়, তার বিষমাত্রার হারও অত্যন্ত বেশি। ফুসফুসের ক্যানসার ঠেকাতে এই অভ্যাস ত্যাগ অবশ্যকর্তব্য।

একথা অবশ্য ঠিক যে আজ ধূমপান করলে কালই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে সেরম কথা নেই৷ তবে পরিবারে ক্যান্সারের হিস্ট্রি থাকলে তার সঙ্গে স্মোকিং ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে এক ধাক্কায় অনেকটাe বাড়িয়ে তুলতে পারে| ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২৮ বছরের প্রিয়াঙ্কার ক্ষেত্রে৷

ধূমপান ত্যাগ তো করতেই হবে কিন্তু সেটি ছাড়াও নজর দিতে হবে কিছু খুঁটিনাটি দিকে| সেগুলি হলো:

  • ধূমপান বা তামাকজাত যে কোনও নেশা ছাড়ুন| প্রয়োজনে হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন।
  • নিজস্ব উদ্যোগে পরিবেশে গাছেদের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা করুন |
  • যতটা সম্ভব দূষণ এড়িয়ে থাকা যায় ততই ভাল| ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধী কোনও মাস্ক চিকিৎসকদের পরামর্শমতো ব্যবহার করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন যে ভাইরাস-ব্যাকটিরিয়া ঠেকানো সম্ভব হলেও দূষণ পুরোপুরি ভাবে ঠেকানো যায় না।
  • মনে রাখবেন, এই অসুখ যদি এড়াতে চান তবে যে কোনও উপায়ে ফুসফুসে তামাকের ধোঁয়া যাওয়া প্রতিরোধ করতে হবে। কাজেই নিজে ধূমপান না করলেও যদি তামাকের ধোঁয়ার চারপাশেই থাকেন তবে সেই ভুল সংশোধন করে নিন আজই।
  • রেডন একটি নির্গন্ধ গ্যাস যেটা মাটির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম ক্ষয় হওয়ার কারণe উৎপন্ন হয়। যারা ধূমপান করেন না তাদের ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার একটি মুখ্য কারণ এই রেডন গ্যাস| অক্সিজেনের সাথে এই গন্ধহীন গ্যাস মিলিত হয়ে শ্বাসে প্রবেশ করে ক্যান্সারের ঝুঁকির বাড়িয়ে তোলে| অতিরিক্ত যানচলাচলযুক্ত জায়গা বা কলকারখানার কাছে বাস করলে এই গ্যাসের মাত্রা প্রায় পরীক্ষা করা খুবই দরকার।

সাধারণ ভাবে একটানা কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা, শ্বাসকষ্ট, বুকে-কাঁধে ব্যথা, হঠাৎ অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস, অতিরিক্ত ক্লান্তি, খাবারে অনীহা হল ফুসফুসের ক্যানসারের চেনা কিছু উপসর্গ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সার যতক্ষণে ধরা পড়ে, ততক্ষণে দেখা যায় অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে৷ তাই কাশি একটু বেশি দিন ধরে চললে টোটকায় সেটি কমবে এমন আশা না-করে অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে ফেলবেন ৷ আর সব শেষে বলি, ‘ক্যানসার মারণ রোগ’ এই ধারণা ভুলে যান| ঠিকঠাক চিকিৎসা হলে ও নিয়ম মানলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে, রোগমুক্তিও হয় অনেক ক্ষেত্রেই।

The Challenges Of Motherhood And Mental Health

New mommies often experience a mixture of emotions during pregnancy & following delivery. Here is why looking after maternal mental health should top the list.

Read more in Bengali

Maternal mental health

যেকোনো সন্তানপ্রত্যাশী নারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তার গর্ভধারণের সময়। ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সাইকেল চলা, শারীরিক পরিবর্তন নিয়ে দুশ্চিন্তা, প্রসব-বেদনা বিষয়ক আতঙ্ক, নিজের কাছে একটু একটু করে বেড়ে উঠতে থাকা একটি নতুন প্রাণের অস্তিত্ব, মা হিসেবে নতুন একটি পরিচয় পাওয়া- সব মিলিয়ে নারীটির মন যেমন আনন্দে ভরে যায়; অপরদিকে সন্তান জন্মদান, তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে অস্থিরতা, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তাওকম হয় না।

হবু মায়েদের শারীরিক পরিবর্তনগুলো সহজে চোখে ধরা দিলেও তাদের মানসিক অবস্থার এই পরিবর্তনগুলো অনেকটাই আড়ালে, অবহেলায় থেকে যায়। সমীক্ষা বলছে, প্রেগন্যান্সির সময়ে ও বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরে প্রতি ১০ জনে ১ জনের বেশি মহিলা এই সমস্যার শিকার। অথচ এসব আবেগগুলো ঠিক সময়ে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গর্ভাবস্থায় ও তারপরেও মা ও শিশুর ওপরে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। 

একথা ঠিক, এইসব চিন্তাভাবনা চাইলেই সহজে মন থেকে দূর করা যায় না। একদিকে আনন্দ, খুশি, অসহায়তা আর অন্যদিকে ভয় আর দুশ্চিন্তা  থেকেই এই সমস্যা হয়। কাজেই কন্সিভ করার আগে মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। অতিরিক্ত আবেগ, স্ট্রেস, আর ডিপ্রেশন থেকে শরীর ও মন দুর্বল হয়ে পড়বে|

এমন কোনো সমস্যার শিকার যদি আপনি হন তাহলে হতাশ হবেন না বা নিজেকে দোষী ভাববেন না। কাজেই প্রতিটি হবু মা এমনকী বাবাদেরও জানা উচিত যে এই মানসিক অবস্থা শুধু একটি নারীর সমস্যা নয়। অনেকে নিজেরা কাটিয়ে উঠতে পারেন আবার অধিকাংশ মানুষ পারেন না। নিজে না পারলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অবস্যই নেবেন| তাহলেই দেখবেন আবার সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে অসুবিধে বোধ করছেন না।

মহিলাদের গর্ভাবস্থার সময়ে তার পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা

আমার মতে ডাক্তারের আশ্বাসবাণীর সাথে সাথেই প্রয়োজন পরিবারের সদস্যদের সাহায্য। যেমন ধরুন, সন্তানসম্ভবা বা ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট চলছে এমন মহিলার মা, শাশুড়ির, বা অন্যান্য কাছের মানুষদের উচিত তাকে বোঝানো যে ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট আজ খুব স্বাভাবিক এক চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জটিলতাr সম্ভাবনা থাকে না।

মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে এবং মন ফুরফুরে রাখতে –

  • দিনের বেলা বিশ্রাম এবং রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, দুটোই দরকার
  • অতিরিক্ত কাজের বোঝা ও ছুটোছুটি অতি অবশ্যই কমাবেন
  • মায়ের নিজের পুষ্টি চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে পরিমাণমতো সুষম খাদ্যগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়
  • চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু যোগব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করতে পারেন
  • অবসরে নিজের পছন্দের কাজ করলে আপনার মন ভালো থাকবে
  • আপনার সঙ্গীর সাথে নিয়মিত সময় কাটান তাতে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়ে উঠবে
  • ধাত্রীবিদ্যার বিশেষজ্ঞের সঙ্গেমনের চিন্তা, ভয় বা আশঙ্কা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন

সন্তানহীনতা থেকে শুরু হয় স্ট্রেস এবং সেটি ক্রমশ বাড়তে থাকে যখন শুরু হয় কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি. একজন দম্পতির মনে ভীড় করে আসে নানা প্রশ্ন – আদৌ কি সন্তান হবে? খরচ কত? সাফল্য কি নিশ্চিত? প্রথমেই কি সাফল্য আসবে? 

এই কারণেই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই একজন দম্পতির দরকার কাউন্সেলিং| জিন ও ক্রোমোজোমের কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় কাউন্সেলিং-এর গুরুত্ব সবথেকে বেশি। দম্পতি প্রথমে একজন ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের কাছে যান। সেই চিকিৎসক প্রয়োজন অনুযায়ী দম্পতিকে জেনেটিক কাউন্সেলরের কাছে পাঠান। কাউন্সেলর ওই দম্পতির রিপোর্ট দেখে বন্ধ্যত্বের কারণটি খুঁজে বের করেন। এরপর ধৈর্যের সঙ্গে দম্পতিকে বুঝিয়ে বলেন ও সমস্যা সমাধানের রাস্তা দেখান।

আই ভি এফ বা অন্য কোনো চিকিৎসাপদ্ধতির সাথে সাথেই চলতে থাকে কাউন্সেলিং| প্রথমবারের জন্য কাউন্সেলরের কাছে আসলেই দম্পতিকে বুঝিয়ে বলা হয় যে প্রথমবারের চেষ্টাতে সাফল্য নাও আসতে পারে। অধিকাংশই মানুষই বিষয়টা মেনে নেন। কোনও ক্ষেত্রে বারংবার চিকিৎসা অসফল হলে, সেটা মানতে সমস্যা হতেই পারে, তখন কাউন্সেলিংএর দ্বারা মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়|