Category Archives: Uncategorized

Importance Of Childhood Immunization

Childhood Immunization

The recent pandemic seems to have split the world into people in favour of vaccination and those against it. There is much anger, debate and dismay regarding the usefulness of vaccines. While the ‘in-favour’ lobby, which includes almost the entire medical fraternity and public health organizations/workers, has been strongly advocating the need for immunization, a small group of anti-vaccine lobbyist remain unconvinced. The doubts and concerns put forth by this group of people has influenced a great many from remaining un-vaccinated against COVID, which has made the job of controlling the pandemic that much more difficult in many countries around the world. 

As this particular controversy rages on, perhaps it is time to once again look at and understand immunization, particularly when it comes to children.

So, what is immunization?

Vaccinating a person against certain diseases by inoculating him/her with a live or dead germ of the disease is essentially what the term ‘vaccination’ means. ‘Immunizing’ refers to boosting one’s immunity, thus making them less vulnerable to various diseases. 

Why is childhood immunization important?

Before his/her birth, a child is protected by the mother’s immunity. Post being born, breast feeding affords a degree of protection, this however, is not enough to ward off the dangers that the growing exposure brings. There was a time, many decades ago, when there were no vaccines. That was also the time when child mortality was very high, as was deformity resulting from diseases like Polio. Diseases like Chicken Pox and Measles were rampant, and associated complications a part of life one lived with. Diarrhoea was a scourge, particularly in the third world countries where hygiene levels have always been a big question mark. 

Medical science has vastly progressed since then, bringing along with it the concept of ‘immunization’ which has been a boon in the area of child health. Vaccines protect a child from not only getting infected against certain diseases, they also prevent him/her from infecting others.

Here’s a quick look at the vaccines recommended for infants today:

  • MMR – For measles, mumps and rubella
  • Hib (Haemophilus influenza) vaccine for a common upper respiratory tract infection that can cause meningitis
  • Polio vaccines
  • DPT – For diphtheria, tetanus and pertussis
  • Hepatitis B vaccine
  • Varicella (chicken pox) vaccine
  • Vaccine for rotavirus- an infection that can cause severe diarrhoea 
  • Vaccines for pneumococcal disease that is known to cause ear infections and pneumonia

The Safety Factor

‘Are vaccines safe?’ is a query doctors are often faced with. It is important to understand that a child is at greater risk from vaccine-preventable diseases that the vaccine itself. Vaccines can have mild side-effects and cause some discomfort in the form of a little fever and some pain in the area of the injections, but the long-term protection they afford far outweigh the minor problems that your child would soon overcome.

Will my child be able to handle so many vaccines?

It is natural for a parent to worry, but do understand that your child is exposed to hundreds of germs every day. A common cold puts a much greater burden on the child’s immunity than a vaccine ever can. Infections/diseases can severely weaken a child’s immune system, prevention is the best way to keep them protected. 

Why is following my child’s vaccine schedule important?

Vaccine schedules have been prepared following a lot of research and clinical trials. Delaying vaccination can make your child vulnerable and nullify the effects of previous vaccinations. It is important to talk to your child’s doctor to understand the vaccines and their schedules.  

Vaccines save life, by helping your child’s immune system fight against infectious diseases. While the need to boost your child’s immunity by ‘natural’ means cannot be ignored, vaccines can help in giving them the initial shield that will protect them and help them fight against the deadly viruses and bacteria they are exposed to during the first months/years of their life. 


IVF v/s ICSI: The Right Choice

Making the right choice when it comes to going for infertility treatment could make all the difference. Find out what works best for you – IVF or ICSI?

Read more in Bengali

IVF vs ICSI

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় আইভিএফ নিয়েই আমরা বেশির ভাগ সময় আলোচনা করে থাকি। তবে এই ধরনের চিকিৎসায় আইভিএফ ছাড়াও অন্যান্য পন্থা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল – আইসিএসআই বা ইকসি। দেখে নেব, কখন ইকসি-র প্রয়োজন হয়? শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসা, শুক্রাণু ঠিক ভাবে বেরোতে না পারা, শুক্রাণুর মধ্যে উচ্চমাত্রায় অস্বাভাবিকতা থাকা প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিলেই ইকসি করা হয়। ধরুন, অনেকের বীর্যে অত্যন্ত কম পরিমাণে শুক্রাণু থাকে বা ওলিগোস্পার্মিয়া এবং একেবারেই শুক্রাণু থাকে না বা অ্যাজুস্পার্মিয়া থাকে। কিন্তু সার্জারির মাধ্যমে শুক্রাণু পুনরুদ্ধার করা যাবে। এ সব ক্ষেত্রে ইকসি করা হয়।

আইভিএফ কী?

আইভিএফ হল ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। এক ধরনের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা। এ ক্ষেত্রে মানব দেহের বাইরে পেট্রিডিশের মধ্যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেক ঘটানো হয়। তার পরের দিনই শুক্রাণু প্রাকৃতিক ভাবেই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে ভ্রূণ তৈরি হয়। ভ্রূণটিকে তিন থেকে পাঁচ দিন রেখে তার উপর নজর রাখেন এমব্রায়োলজিস্ট এবং সঠিক সময় বুঝে হবু মায়ের শরীরে ভ্রূণটিকে স্থাপন করা হয়।

আইসিএসআই (ইকসি) কী?

 ইকসি হল ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন। এক ধরনের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা। এ ক্ষেত্রে এমব্রায়োলজিস্ট একটা শুক্রাণু বেছে নেন। বাছাই করা শুক্রাণুটিকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সরাসরি ডিম্বাণুর মধ্যে গেঁথে দেওয়া হয়। ফের একই পদ্ধতিতে নিষিক্ত ডিম্বাণুটিকে হবু মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়।

আইভিএফ ও ইকসি-র সাদৃশ্য:

আইভিএফ-এ যেমন সঙ্গী অথবা দম্পতি অথবা দাতাদের (ডোনার) ডিম্বাণু-শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়, ইকসি-র ক্ষেত্রেও ঠিক সে ভাবেই ডিম্বাণু-শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। ডিম্বাণু বাছাইয়ের দিনই নিষেক ঘটান এক জন এমব্রায়োলজিস্ট। আর তার পরের দিনই পরীক্ষা করে দেখেন যে, কোনটা কোনটা নিষিক্ত হয়েছে। এ বার নিষিক্ত ডিম্বাণুগুলিকে তিন থেকে পাঁচ দিন ইনকিউবেটরে রেখে নজরদারি চালানো হয়। যে ভ্রূণ সব থেকে ভাল, সেটিকে হবু মায়ের গর্ভে স্থাপন করা হয়।

সাদৃশ্য হয়তো এই একটা জায়গাতেই। কিন্তু দুই পদ্ধতির পার্থক্য অনেক। তাই এ বার আসা যাক এই দুই পদ্ধতির পার্থক্যের কথায়।

আইভিএফ ও ইকসি-র পার্থক্য:

প্রক্রিয়া

প্রথম ফারাকটা রয়েছে চিকিৎসা পদ্ধতিতেই। আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে পেট্রিডিশের মধ্যে নিষেক ঘটানো হয় এবং এক রাতের মধ্যেই শুক্রাণুটি প্রাকৃতিক উপায়ে ডিম্বাণুুর গায়ে গেঁথে যায়।

ইকসি-র ক্ষেত্রে শুক্রাণুটি বেছে নিয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সরাসরি ডিম্বাণুর গায়ে গেঁথে দেওয়া হয়।

কাদের জন্য কোনটা

মূলত শুক্রাণু সম্পর্কিত বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রেই ইকসি করা হয়। পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় সাফল্য এনে দিয়েছে এই প্রক্রিয়া।

আর আইভিএফ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় অনেক ধরনের বন্ধ্যাত্বের সমস্যায়। আর এটা বহুল প্রচলিত সফল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। আলাদা আলাদা বয়স এবং ভিন্ন পরিস্থিতির জন্য বিভিন্ন রকমের আইভিএফ পদ্ধতি রয়েছে। 

আইভিএফ-এর উপকারিতা:

  • ডিম্বাণু নিষেকের ক্ষেত্রে ইকসি-র তুলনায় কম মাত্রার ইনভেসিভ
  • মানুষের ভুলে ডিম্বাণুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম
  • শুক্রাণু মানব দেহের বাইরে পেট্রিডিশে প্রাকৃতিক উপায়েই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়

আইভিএফ-এর অপকারিতা:

  • নিষেক পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি
  • ডিম্বাণুর দিকে অনেক শুক্রাণু ধেয়ে আসতে পারে, এটার নিয়ন্ত্রণ থাকে না
  • পুরুষ বন্ধ্যাত্বে আক্রান্তের ক্ষেত্রে খুব একটা উপকারি নয়
  • ডিম্বাণু সংগ্রহের পর বোঝা যায় না সেটা কতটা পরিণত

ইকসি-র উপকারিতা:

  • পুরুষ বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী
  • সাধারণ নিষিক্ত ডিম্বাণুর সংখ্যা বেশি
  • ডিম্বাণুর মান জানা যেতে পারে
  • সব ডিম্বাণুর নিষিক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি – কোনও ডিম্বাণুর অপচয় হয় না

ইকসি-র অপকারিতা:

  • অভিজ্ঞ ও দক্ষ এমব্রায়োলজিস্ট না হলে ডিম্বাণুর ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়
  • আইভিএফ-এর তুলনায় বেশিই ইনভেসিভ পদ্ধতি
  • অতিরিক্ত খরচের সম্ভাবনা
  • এই পদ্ধতিতে জন্মানো সন্তান বংশ পরম্পরায় বাবার মতোই বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারে

Identifying the Early Signs of Infertility in Women

Irregular periods & inability to ovulate could indicate female infertility. Consult with a doctor and get tested at the earliest.

Read more in Bengali

বন্ধ্যত্ব! শব্দটা শুনেই নির্ঘাত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল! কি তাই তো? ভেঙে পড়ারই কথা! কারণ এখনও বন্ধ্যত্ব নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা পরিষ্কার নয়।
তাই সবার আগে জেনে নিতে হবে, বন্ধ্যত্ব আসলে কী? ধরুন, কোনও প্রোটেকশন ছাড়াই আপনি নিয়মিত আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হচ্ছেন, অথচ কনসিভ করতে পারছেন না। এ ভাবে ছ’মাস অথবা এক বছর কাটলে কিন্তু বুঝতে হবে যে, আপনি বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছেন। বয়সের সঙ্গেও কিন্তু বন্ধ্যত্বের যোগ রয়েছে। যেমন- বয়স ৩৫ পেরিয়ে যাওয়ার পর ছ’মাস অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেও কনসিভ করতে না পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অনেকেই বলে থাকেন, মা হওয়ার আদর্শ বয়সসীমা হচ্ছে ২৩-৩০ বছর। আসলে তার পর ডিম্বাণুর মান
পড়তে থাকে ক্রমশ। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ডিম্বাণু ফ্রিজ করে রাখারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
অল্প বয়সের সুস্থ, সবল ডিম্বাণু সংরক্ষিত থাকলে তা পরে ব্যবহার করা যায়। আর রিপোর্ট বলছে, প্রতি
১০ জন দম্পতির মধ্যে ১ জন বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগেন। তবে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগলে মা হওয়া
যাবে না, এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বন্ধ্যত্বের সঠিক চিকিৎসা হলে কিন্তু
সহজেই মা হতে পারবেন।
এটা তো নয় গেল! কিন্তু এ বার যে প্রশ্নটা আসে, সেটা হল- বন্ধ্যত্বের আঁচ কি আগে থেকে পাওয়া যায়?
কিছু কিছু লক্ষণ দেখে অবশ্যই আগে থেকে বন্ধ্যত্বের আঁচ পাওয়া সম্ভব। তবে তার আগে জেনে নিতে
হবে কনসিভ করার জন্য কোন কোন বিষয় অত্যন্ত জরুরি।

কনসিভ করতে যে বিষয়গুলি জরুরি:

  • নিয়মিত মাসিক চক্র
  • মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ওভ্যুলেশন
  • ওই সময় নিয়মিত সহবাস
  • সুস্থ ফ্যালোপিয়ান টিউব ও জরায়ু
  • সঙ্গীর থেকে শক্তিশালী স্পার্ম

ফলে বুঝতেই পারছেন, মাসিক চক্র ও ওভ্যুলেশনে সমস্যা হলে কিন্তু সেটাকে বন্ধ্যত্বের উপসর্গ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তা ছাড়াও বন্ধ্যত্বের আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে।

বন্ধ্যত্বের আঁচ কী ভাবে পাওয়া যায়?

  • পলিসিস্টিক ওভারি একটি লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডার। অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ, ক্লান্তি, তলপেটে ব্যথা- এগুলো পলিসিস্টিক ওভারির উপসর্গ। এই রোগের কারণে শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে এবং ওভারিতে ছোট ছোট সিস্ট থাকার কারণে কনসিভ করতে সমস্যা হয়। তবে একটু সচেতন হলেই এটা কমানো সম্ভব।
  • ওভারিতে টিউমার থাকলেও কনসিভ করতে অসুবিধা হয়। এটাও বন্ধ্যত্বের অন্যতম উপসর্গ।
  • এন্ডোমেট্রিওসিসের সমস্যা থাকলেও কিন্তু বন্ধ্যত্বের সম্মুখীন হতে পারেন। পিরিয়ডসের সময় অসহ্য তলপেটে যন্ত্রণা, বেশি রক্তপাত কিন্তু এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ। প্রথম থেকেই যদি এই সমস্যা থাকে, তা হলে কিন্তু দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিকতা থাকলেও গর্ভবতী হতে সমস্যা হবে। আসলে থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে রোগী অনিয়মিত মাসিক চক্র, আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই এই সমস্যা থাকলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
  • জেনিটাল টিউবারকিউলোসিস (টিবি) থেকেও আসতে পারে বন্ধ্যত্ব। টিবি ব্যাকটেরিয়া প্রথমে ফুসফুসকে আক্রমণ করে। পরে তা জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ ঘটায়। এর উপসর্গগুলো সে ভাবে চোখে পড়ে না। তবে অনিয়মিত মাসিক, ক্রমাগত স্রাব, পেট ব্যথা- এ সব থাকলে সাবধান হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ইউটেরাস নন-ক্যানসার টিউমার বা ফাইব্রয়েড হলেও কিন্তু সাবধান। মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, অনেক দিন ধরে ঋতুস্রাব চলা, পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা- এগুলো ফাইব্রয়েডের লক্ষণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর উপসর্গ ফুটেও ওঠে না।
  • অনেক সময় জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউবে সংক্রমণ হয়ে থাকে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ বলা হয়। যার থেকে আসতে পারে বন্ধ্যত্ব।
  • অতিরিক্ত স্ট্রেস, ওজন বেড়ে যাওয়া, অ্যালকোহল সেবন, ধূমপান, ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়া- এগুলোও কিন্তু বন্ধ্যত্বের কারণ। সে ক্ষেত্রে নেশা ছাড়তে হবে এবং জীবনযাত্রার ধরন পাল্টে ফেলতে হবে।

‘My baby is crying, so I must breastfeed’ – It’s Time You Stop Believing These Myths!

There are several misconceptions regarding breastfeeding, which can make decision-making tough for new mommies. Here are a few myths you need to stop believing!

Read more in Bengali

Breastfeeding

খাবার অথবা জল ছাড়া কি আমরা বাঁচতে পারি? একেবারেই না। কিন্তু শিশুরা বেঁচে থাকতে পারে শুধু মাতৃদুগ্ধের উপর নির্ভর করে! জন্মের পর থেকে অন্তত ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধই হয়ে ওঠে তাদের রসদ। আর মাতৃদুগ্ধই তাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে শুরু করে ইমিউনিটি – সব কিছুর জোগান দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে তাই মাতৃদুগ্ধই হল অমৃতসম! তবে অনেকেই মনে করেন যে, স্তন্যপান অত্যন্ত জটিল একটা বিষয়। তা কিন্তু একেবারেই নয়। কারণ স্তন্যপান নিয়ে বহু প্রচলিত ধারণা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে, আর সেই ভুল ধারণাগুলো ভাঙার সময় এসে গিয়েছে। জেনে নিন, স্তন্যপান করানো সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা ঠিক, আর কোন ধারণা ভুল!

তত্ত্ব: শিশুর জন্মের পর মায়ের স্তনগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত প্রথম দুধ বা কলোস্ট্রাম ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ এটি খারাপ।
তথ্য: কলোস্ট্রাম একেবারেই খারাপ বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং এটা অত্যন্ত উপকারী। এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফলে বুঝতেই পারছেন, কলোস্ট্রাম শিশুর ইমিউনিটি বাড়ায়। আসলে কলোস্ট্রাম অত্যন্ত পুষ্টিকর, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। তাই সন্তানের জন্মের একদম পরেই তা সন্তানকে দেওয়া উচিত। ধরে নিন, এটাই আপনার সন্তানের প্রথম ইমিউনিটি বুস্টার শট।
তত্ত্ব: সি-সেকশন ডেলিভারির পর স্তন্যপান একেবারেই সম্ভব নয়।
তথ্য: সি-সেকশন ডেলিভারির পর সন্তানকে স্তন্যপান সম্ভব। হয়তো প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হতে পারে। কারণ যত ক্ষণ না আপনার অ্যানাস্থেশিয়ার প্রভাব কাটছে, তত ক্ষণ আপনি স্তন্যদান শুরু করতে পারবেন না।
তত্ত্ব: ছোট স্তনে কম দুধ উৎপন্ন হয়।
তথ্য: বড় স্তনের মতো ছোট স্তন থেকেও সমান পরিমাণেই দুধ উৎপন্ন হয়। কারণ স্তনদুগ্ধের উৎপন্ন নির্ভর করে নিঃসরণকারী গ্রন্থির উপর, যা ছোট-বড় সব স্তনেই সমান সংখ্যায় থাকে। আসলে আপনার স্তনদুগ্ধের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার সন্তানের উপর। কী ভাবে? শিশুরা স্তনগ্রন্থি থেকে যত দুধ টানবে, তার উপরেই নির্ভর করে স্তনদুগ্ধের পরিমাণ। ওরা যত বেশি দুধ টানবে, তত বেশি পরিমাণে অক্সিটোসিন এবং প্রোল্যাকটিন হরমোন নিঃসৃত হবে। আর এই দুই হরমোনই স্তনদুগ্ধ তৈরি এবং সরবরাহে প্রধান ভূমিকা পালন করে। 
তত্ত্ব: স্তন্যপান করানোর সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জলও খাওয়াতে হবে।
তথ্য: আসলে স্তনদুগ্ধ জলসমৃদ্ধ। ফলে শিশুদের স্তন্যপান করানো হলে স্তনদুগ্ধ থেকেই তারা পর্যাপ্ত জল পেয়ে যায়। তাই আলাদা করে তাদের আর জল খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না। জল অথবা অন্য কোনও তরল সাপ্লিমেন্ট দিলে তা তাদের খিদে কমিয়ে দেবে, ফলে তারা স্তনদুগ্ধ আর পান করবে না। আর শিশু স্তন্যপান না করলে মায়ের স্তনে প্রোল্যাকটিন আর অক্সিটোসিন ক্ষরণ হবে না, যা মায়ের দুধ উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।
তত্ত্ব: বাচ্চারা যদি স্তনদুগ্ধ পান না করে, তা হলে স্তনদুগ্ধ টক হয়ে যায়।
তথ্য: বাচ্চা স্তনদুগ্ধ পান করুক বা না-করুক মায়ের স্তনে সঞ্চিত দুধ সব সময়ই টাটকা থাকে। তবে স্তনদুগ্ধ বাইরে বার করে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। কারণ স্তন থেকে বাইরে বার করা দুধ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাল থাকে।

তত্ত্ব: শিশুকে স্তন্যপান করানোর আগে সব সময় স্তনবৃন্ত পরিষ্কার করে নিতে হবে। 
তথ্য: একেবারেই ভুল ধারণা। তবে আগে বলি, এই ভুল ধারণা কোথা থেকে এসেছে। অনেকেই মনে করেন, স্তনবৃন্ত পরিষ্কার না করলে সেখান থেকে শিশুর সংক্রমণ হতে পারে। এটা পুরো ভুল ধারণা। কারণ শিশুরা ইমিউনিটি পায় স্তনদুগ্ধ থেকেই। তবে স্তনবৃন্ত বারবার পরিষ্কার করা হলে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলস নষ্ট হয়, যার ফলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যেতে পারে।
তত্ত্ব: যদি শিশুদের ডায়েরিয়া অথবা গা-বমি ভাব থাকে, তখন তাদের স্তন্যপান করানো উচিত নয়। 
তথ্য: একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ যদি শিশুদের কোনও সংক্রমণ থাকে, সে ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধ থেকেই ওরা উপকার পাবে। অন্য খাবার বন্ধ করে দেওয়া হলেও স্তন্যপান করিয়ে যেতে হবে। তবে যদি স্তনদুগ্ধ পান করেই শিশু বমি করে ফেলে. সে ক্ষেত্রে স্তন্যপান বন্ধ রাখতে হবে।
তত্ত্ব: যে সব মায়েরা স্তন্যপান করান, তাঁদের বেশি করে গরুর দুধ খাওয়া উচিত। এতে তাঁর স্তনেও প্রচুর পরিমাণে দুধ তৈরি হবে।
তথ্য: দুধ খেলেই যে দুধ বেশি বেশি করে তৈরি হবে, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। যেটা সব থেকে বেশি প্রয়োজন, সেটা হল- শাকসবজিযুক্ত ডায়েট। সেই সঙ্গে ফল, শস্য ও প্রোটিনও থাকবে। আর এগুলোই আপনার স্তনদুগ্ধের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়।    
তত্ত্ব: বেশি বেশি দুধ উৎপাদন করার জন্য স্তনকে বিশ্রাম দিতে হয়।
তথ্য: এই ধারণা পুরোপুরি মিথ্যে। স্তনকে বিশ্রাম দিলে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। এটা আপনার স্তনে দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে। আসলে সঞ্চিত দুধের আধার হিসেবে কাজ করে স্তন। আর যত তাড়াতাড়ি তা খালি হয়ে হয়, তত তাড়াতাড়ি আবার তা ভর্তি হয়ে যায়। অনেক সময় ধরে স্তন পূর্ণ থাকলে মস্তিষ্কে একটি বার্তা যায়, যার ফলে আপনার দেহ ধীর গতিতে দুধ উৎপাদন করে।
তত্ত্ব: যদি বাচ্চা প্রচণ্ড কান্নাকাটি করে, তা হলে মা ঠিকমতো দুধ  উৎপাদন করতে পারছে না। 
তথ্য: আসলে বাচ্চারা বিভিন্ন কারণে কান্নাকাটি করে। তারা ভিজে যেতে পারে, তাদের ঠান্ডা অথবা গরম লাগতে পারে, কোনও শব্দ শুনে ভয় পেতে পারে। মূলত এই সব কারণে বাচ্চারা কাঁদে। অনেক সময় কোলে উঠতে চেয়েও কান্নাকাটি করে শিশুরা। প্রচণ্ড কাঁদছে মানে এই নয় যে, বাচ্চাকে স্তন্যপান করাতে হবে। আর এটা ভেবে নিলে বাচ্চার কান্নার আসল কারণটা চাপা পড়ে যাবে। তাই প্রথমেই তাদের অস্বস্তির কারণটা খুঁজে বার করার চেষ্টা করতে হবে।

10 Common Misconceptions about IVF

If you’re planning on going for IVF, you must be well aware of the procedure. Here are the ten most common IVF misconceptions dispelled by facts.

Read more in Bengali

এখন প্রায় প্রত্যেকেই যেন একটা ইঁদুর দৌড়ে সামিল! ব্যস্ত জীবন, কেরিয়ারের চাপ তো আছেই। আর তার সঙ্গে বিলাসবহুল জীবনযাপনেও আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। যার ফলে কমবেশি সকলেই নানাবিধ লাইফস্টাইল ডিজিজে আক্রান্ত। যার মধ্যে অন্যতম হল বন্ধ্যাত্ব। আর এই ‘বন্ধ্যাত্ব’ শব্দটা শুনলেই এখনও অনেকের মাথাতেই যেন বাজ পড়ে! তাঁরা মনে করেন, যে সব দম্পতি এই সমস্যার সম্মুখীন, তাঁরা আর বাবা-মা হতে পারবেন না। সবার প্রথমে তাঁদের বলি, এটা একেবারেই ভুল ধারণা।


বন্ধ্যাত্বের সমস্যা পেরিয়ে অনেক মহিলাই সন্তানসুখ পেয়েছেন। আর বহু ক্ষেত্রে সেটা আইভিএফ-এর হাত ধরেই সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মুশকিলটা হল, এই আইভিএফ শব্দটা শুনেও অনেকে কেমন পিছিয়ে যান। আসলে তাঁদের মনে এই আইভিএফ পদ্ধতি নিয়ে কিছু চালু ধারণা রয়ে গিয়েছে। যেগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আইভিএফ নিয়ে প্রচার সত্ত্বেও সেই ধারণাগুলো দূর হয়নি! তাই অনেক মহিলাই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সম্মুখীন হলেও আইভিএফের জন্য চট করে সায় দিতে পারেন না।


সকলেরই আইভিএফ সংক্রান্ত একটা জরুরি তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। সেটা হল- সাধারণত যে সব দম্পতি অনেক চেষ্টার পরেও স্বাভাবিক ভাবে যখন সন্তানের জন্ম দিতে পারেন না, তখন বুঝতে হবে তাদের বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কিত কোনও সমস্যা রয়েছে। প্রথমে বন্ধ্যাত্বের কারণ খুঁজে বার করবেন চিকিৎসক। তার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে। এমন নয় যে বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কিত সমস্যা হলেই আইভিএফ করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ওষুধের মাধ্যমেই চিকিৎসা করা হয়। তার পরেও যদি সন্তান না আসে, তখন ডাক্তাররা আইভিএফ-এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

আসুন জেনে নিই, আইভিএফ সংক্রান্ত ভুল এবং অর্ধসত্য ধারণাগুলি। যাতে সেগুলো নিয়ে মনে আর কোনও সংশয় না থাকে!

ভুল: অনেকেই মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সব ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবে সন্তানলাভ সম্ভব।

ঠিক: আইভিএফ পদ্ধতিতে সফল ভাবে সন্তান পেয়েছেন ৫০ শতাংশেরও কম দম্পতি।

ভুল: সাধারণত আইভিএফ পদ্ধতিতে যে শিশুদের জন্ম হয়, তাদের টেস্ট টিউব বেবি বলা হয়। আর এই শব্দটা নিয়েই যত সংশয়! অনেকেই ভেবে বসেন যে, টেস্ট টিউব বেবি টেস্ট টিউবের মাধ্যমে হয়।

ঠিক: টেস্ট টিউব বেবি কৃত্রিম উপায়ে জন্ম দেওয়া কোনও শিশু নয়। টেস্ট টিউব মূলত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। নিষিক্তকরণের প্রক্রিয়াটি হয় পেট্রিডিশে।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে যে কোনও বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়া যেতে পারে।

ঠিক: আইভিএফ পদ্ধতির ক্ষেত্রেও মায়ের বয়সটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে বয়স যত বাড়তে থাকে, মহিলাদের সন্তানধারণ ক্ষমতা তত কমতে থাকে। ফলে বুঝতেই পারছেন, আইভিএফ-এর ক্ষেত্রেও বয়স যত কম হবে, গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি থাকবে।

ভুল: আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে, সেটা বেছে নেওয়া যেতে পারে।

ঠিক: মনে রাখবেন, আমাদের দেশে ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

ভুল: কেউ কেউ মনে করেন, আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সব সময়ই একের বেশি বাচ্চা জন্ম নিতে পারে। সব ক্ষেত্রে এটা ঠিক নয়।

ঠিক: ডাক্তারেরা ঝুঁকি কমাতে ১টি-র বদলে ২-৩টি ভ্রূণ স্থাপন করেন, যেন অন্তত ১টি ভ্রূণ টিকে যায়! ফলে একের বেশি বাচ্চা হতেই পারে।

ভুল: আইভিএফ নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা রয়েছে যে, এই পদ্ধতি বন্ধ্যাত্ব সংক্রান্ত সব রকম সমস্যা দূর করতে পারে।

ঠিক: আসলে আইভিএফ পদ্ধতির সাফল্যের হার অনেকাংশেই নির্ভর করে বন্ধ্যাত্বের কারণের উপর।

ভুল: অনেকেরই আশঙ্কা থাকে যে, আইভিএফ-এর জন্য শরীর থেকে সব ডিম্বাণু তুলে নেওয়া হয়।

ঠিক: আইভিএফ করা হলে শরীরের সব ডিম্বাণু শেষ হয়ে যায় না।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্ম নেওয়া শিশুরা অসুস্থ হয়। নানা রকম রোগে ভোগে।

ঠিক: যে হেতু সব চেয়ে শক্তিশালী ভ্রূণটিকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়, তাই স্বাস্থ্যবান শিশুরই জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে যেমন সন্তানের জন্মগত সমস্যার আশঙ্কা থাকে, আইভিএফ-এর ক্ষেত্রেও সেটা সমানই।

ভুল: আইভিএফ পদ্ধতিতে যারা জন্ম নেয়, অর্থাৎ টেস্ট টিউব বেবিরা সন্তানের জন্ম দিতে পারে না।

ঠিক: বংশগত কারণে যদি টেস্ট টিউব বেবির প্রজনন ক্ষমতা কম থাকে, তা হলে তাকেও আইভিএফ-এর সাহায্য নিতে হতে পারে।

ভুল: আইভিএফ-এর পুরো প্রক্রিয়া যন্ত্রণাদায়ক।

ঠিক:এই কথাটা আংশিক সত্য। কারণ আইভিএফ-এর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে যে ছিদ্র করা হয়, তার জন্যই কেবল ব্যথা হয়। যদিও খুব সরু ছুঁচ দিয়ে কাজটা করা হয়। তবে জরায়ুতে ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ব্যথামুক্ত। ফলে বুঝতেই পারছেন, আইভিএফ-এর পুরো প্রক্রিয়াটা যন্ত্রণাদায়ক নয়।

Female Scientists Who Changed Human Fertility Forever

Miriam Menkinwas the first woman scientist to successfully fertilize a human egg through IVF– but few people know her name. Do you know her story?

Read more in Bengali

 IVF Guideline

মিরিয়াম মেনকিনই হচ্ছেন প্রথম মহিলা, যিনি সফল ভাবে টেস্ট টিউবের মধ্যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেক ঘটিয়েছিলেন। আর এই ভাবেই বদলে দিয়েছিলেন জনন সংক্রান্ত চিকিৎসার সংজ্ঞাই। তবে কিছু হাতেগোনা লোকজন আজ তাঁর নাম জানেন।

মিরিয়ামের গল্প

১৯৪৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এক মঙ্গলবারের এক রাত। কোলে কয়েক মাসের শিশুকন্যা। সবে দাঁত উঠতে শুরু করেছে একরত্তির। শিশুসন্তানের সেই যন্ত্রণা উপশম করার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এক মা। কার্যত সে দিন মেয়ের দেখভালের জন্য গোটা রাতটাই জেগে কাটাতে হয়েছিল ৪৩ বছর বয়সি ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে। পরের দিন সকাল হতেই ল্যাবে চলে যান তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শুরু করলেন গবেষণা। একটি কাচের পাত্রে শুক্রাণুর মিশ্রণে রাখলেন নতুন একটি ডিম্বাণু, ঠিক যেমনটা রোজ করে থাকেন। সেই সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে যেতে লাগলেন, এ যাত্রা যেন শুক্রাণু আর ডিম্বাণু- এই দুইয়ে মিলে এক হয়ে যায়! আসলে হাভার্ডের ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ জন রকের এই ল্যাব টেকনিশিয়ান ও সহকর্মীর তখন একটাই ধ্যানজ্ঞান, মানুষের শরীরের বাইরেই ডিম্বাণুর নিষেক ঘটানো! যাতে বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন আসে। অন্যান্য দিন ডিম্বাণু ও শুক্রাণু আধ ঘণ্টা মতো একসঙ্গে রেখে দিতেন তিনি। কিন্তু এ বার তা হল না! আগের রাতে জাগার ক্লান্তি আর ডিম্বাণু-শুক্রাণুর নিষেক দেখতে বিভোর হয়ে গিয়ে সে দিন ঘড়ির দিকে তাকাতেই বেমালুম ভুলে গেলেন। যখন খেয়াল হল, তখন দেখলেন যে, ততক্ষণে এক ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। সে দিনকার মতো গবেষণা শেষ হল। এর পর শুক্রবার আবার তিনি ল্যাবে গেলেন। আর এসে যা দেখলেন, তাতে তার চক্ষু ছানাবড়া! তাঁর সামনে তখন যেন এক অপার বিস্ময়! তিনি দেখলেন, কোষগুলি ধীরে ধীরে বিভাজিত হতে শুরু করেছে। আর গোটা বিশ্বে এই প্রথম মানবদেহের বাইরে কাচের ভিতরেই ভ্রূণ তৈরি হল। আর তার প্রথম নিদর্শনের সাক্ষী রইলেন মিরিয়াম মেনকিন।
মেনকিন্সের এই কৃতিত্ব জনন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে এক নতুন যুগ এনে দিয়েছিল, তা অনস্বীকার্য। তবে তাঁর সাফল্য কিন্তু কোনও দুর্ঘটনা ছিল না। আসলে তিনি ছিলেন এক জন বিজ্ঞানমনস্ক ও বিজ্ঞানে বিশ্বাসী বিজ্ঞানী গবেষক। কিন্তু সহকর্মী রকের মতো তাঁর নাম নিয়ে ঘরে ঘরে চর্চা হয় না। আজও অনেকে জানেনই না মেনকিনের নাম।

এর পর আসি ১৯৭৮ সালের কথায়। সেই বছরই বিশ্বের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি লুইস ব্রাউন পৃথিবীর আলো দেখে। যদিও স্যর রবার্ট এডওয়ার্ডস এবং প্যাট্রিক স্টেপটোকেই আইভিএফ পদ্ধতির পথপ্রদর্শক বা জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে তার সঙ্গে নার্স এবং এমব্রায়োলজিস্ট জিন মারিয়ান পার্ডি-র নাম অবশ্যই নিতে হবে। কারণ এ ক্ষেত্রে তাঁরও সমান অবদান রয়েছে। পার্ডিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি এমব্রায়োনিক কোষ বিভাজনের প্রথম সাক্ষী ছিলেন। আর বিশ্বের প্রথম আইভিএফ ক্লিনিক, বর্নহল ক্লিনিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন এই পার্ডি-ই। অথচ, পার্ডিরও নামও সে রকম ভাবে বহুল চর্চিত নয়। ফিজিওলজি এবং মেডিসিনে নিজের অবদানের জন্য এডওয়ার্ড নোবেল পুরস্কারে-এ ভূষিত হয়েছেন। অথচ, সেই কৃতিত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পার্ডি। দুঃখের বিষয় যে, পার্ডির অবদানও অবহেলিত হয়ে একটা অন্ধকার কোণে পড়ে থেকেছে! এ বার সময় এসেছে সেই পর্দাটা সরানোর। সারা বিশ্বের হিসেবে দেখা গিয়েছে, সেই ১৯৭৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আইভিএফের মাধ্যমে প্রায় ৬০ লক্ষ বাচ্চা কনসিভ করা হয়েছে। আসলে আশ্চর্য বিষয়টা হচ্ছে যে, এক সময় আইভিএফের ক্ষেত্রে মহিলা বিজ্ঞানী-গবেষকরা প্রদীপের আলোর তলায় পড়ে ছিলেন, যা সাম্প্রতিক কালে ধীরে ধীরে আলোর সম্মুখে উন্মোচিত হচ্ছে! আর তাই আজ মানুষ জানতে পারছে, এই মহিলা বিজ্ঞানীদের নাম এবং তাঁদের কালজয়ী, যুগান্তকারী কৃতিত্বের কথা। যাঁদের জন্য আজ কোল ভরছে বন্ধ্যত্বে আক্রান্ত বহু মহিলার।

Having a Child after Recovering from Cancer

Are you worried about conceiving after cancer treatment? Fertility preservation can be a good option for those wanting to become a mother post-recovery.

Read more in Bengali

বিয়ের দু’বছর পেরিয়ে যেতেই সন্তান নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিল বছর তিরিশের রিমিতা (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু তার বছর পেরোলেও কনসিভ করতে পারল না সে। তখনই বুঝেছিল, বন্ধ্যত্বের সমস্যার সম্মুখীন সে। এক ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে জানতে পারল, ওর সন্দেহ ভুল নয়। ডাক্তারবাবুর পরামর্শে শুরু হল চিকিৎসাও। ঠিকঠাকই চলছিল সব কিছু। তবে মাস সাতেক পরেই দেখা দিল আর এক সমস্যা। কারণ কয়েক দিন ধরেই স্তনে একটি মাংস পিণ্ড অনুভব করছিল রিমিতা। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায় সে। জানা যায়, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত সে। অস্ত্রোপচারের পরে নিতে হবে কেমোথেরাপিও। এর পর থেকে নানা আশঙ্কা ঘুরপাক খেতে শুরু করে সদ্য বিবাহিতা ওই তরুণীর মনে। ক্যানসার চিকিৎসার পরে নিজে সুস্থ হলেও সন্তানধারণ কি করতে পারবে সে? এই আশঙ্কাটা দূর করলেন রিমিতার ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞই। তিনি জানালেন, উপায় আছে। ক্যানসার চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগে যদি রিমিতা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখে, তা হলে নিজে সুস্থ হয়ে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারবে সে। পরে অবশ্য ক্যানসার জয় করে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে রিমিতা।

বিয়ের বছর না ঘুরতেই যেন অন্ধকার নেমে এসেছিল বছর সাতাশের তথাগত আর ওর স্ত্রী ঋতজার জীবনে (নাম পরিবর্তিত)। বিয়ের ঠিক সাত মাসের মাথায় জানা যায়, তথাগত কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত। ডাক্তারবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, রোগটা প্রথম ধাপে রয়েছে বলে সুস্থ হয়ে যাবে তথাগত। তাতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকেরা। তবে চিকিৎসা শুরু করার আগে ডাক্তারবাবু জানিয়েছেন যে, তথাগত আর বাবা হতে পারবে না। তবে ও যদি কোনও ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ওর শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখতে পারে, তা হলে তথাগত পিতৃত্বের স্বাদ পেতে পারে। তবে যা করার তা ক্যানসারের চিকিৎসা শুরুর আগেই করে ফেলতে হবে। অনেক ভেবে-চিন্তে রাজি হয়ে যায় ওই দম্পতি। এর পর তথাগত সুস্থ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর কাটলে ওরা সন্তান নেবে বলে ঠিক করে। তার পর কেটে গিয়েছে আরও কয়েক বছর। ওরা এখন এক সুস্থ কন্যা সন্তানের সুখী বাবা-মা।

নিশ্চয়ই ভাবছেন, কোনও রূপকথার গল্প পড়ছেন! একেবারেই না। রেশমি আর কৌশিকের গল্পটা রূপকথার মতো হলেও বাস্তব ঘটনা। শুধু এরাই দম্পতি নয়, আরও অনেক তরুণ-তরুণীও আছেন, যাঁরা ক্যানসারের মতো মারণ রোগকে হারিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন এবং সুস্থ সন্তানেরও জন্ম দিচ্ছেন।

এক পরিসংখ্যান বলছে, স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে অক্রান্তদের মধ্যে কম বয়সিদের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছরই বাড়ছে স্তন ক্যানসার রোগীর সংখ্যা। তবে তাতে থেমে থাকছে না কিছু। চিকিৎসা বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত। তাই ক্যানসারের মতো ঘাতক রোগকে হারিয়ে অনেকেই মাতৃত্ব এবং পিতৃত্বের স্বাদ পাচ্ছেন। কী ভাবে। ক্যানসারের যে কোনও থেরাপিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আপনার সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা। তার জন্যই প্রয়োজন ফার্টিলিটি সংরক্ষণ। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় এই ফার্টিলিটি সংরক্ষণ করা হয় মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট ধাপে।

বাবামা হওয়ার পথে ক্যানসার কী ভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায়:

কয়েকটি নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার চিকিৎসা সন্তান উৎপাদন এবং সন্তান ধারণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার প্রভাব অস্থায়ীও হতে পারে, আবার চিরস্থায়ীও হতে পারে। ক্যানসারের কোন স্টেজ অথবা কোন ধরনের ক্যানসার, তার উপরই নির্ভর করবে সন্তান উৎপাদন এবং সন্তান ধারণের বিষয়টা। এমনকী চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর বয়সের উপরেও ফার্টিলিটি অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ বার জেনে নেওয়া যাক ক্যানসার চিকিৎসা ও তার প্রভাব।

  • অস্ত্রোপচার বা সার্জারি

সার্জারির মাধ্যমে পুরুষদের শুক্রাশয় এবং মহিলাদের জরায়ু (ইউটেরাস) অথবা ডিম্বাশয় (ওভারি) বাদ চলে যায়, সে ক্ষেত্রে ফার্টিলিটির উপর প্রভাব পড়বে।

  • কেমোথেরাপি

কেমোথেরাপির ড্রাগ ও মাত্রার উপর নির্ভর করে ওই প্রভাব। যে সব ড্রাগে অ্যালকাইলেটিং উপাদান থাকে, সেগুলোই বেশি ক্ষতি করে। এ ছাড়াও সিসপ্লাটিন ড্রাগও মারাত্মক ক্ষতি করে। তবে যাঁদের কেমোথেরাপি চলে, তাঁদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক মহিলারা বন্ধ্যত্বের সমস্যায় আক্রান্ত হন।

  • রেডিয়েশন

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেমোথেরাপির তুলনায় রেডিয়েশনে বেশি ক্ষতি হয়। কোথায় ও কতটা জায়গা জুড়ে রেডিয়েশন করা হচ্ছে এবং রেডিয়েশনের মাত্রা- এ সবের উপর নির্ভর করে ক্ষতির পরিমাণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, উচ্চ মাত্রায় রেডিয়েশন চললে তা ডিম্বাশয়ের কিছু ডিম্বাণু নষ্ট করে দেয়। এমনকি অনেক সময় সব ডিম্বাণুও শেষ করে দিতে পারে।

  • ক্যানসারের অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি

অনেক সময় কয়েক ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে হরমোনথেরাপি করা হয়। মহিলাদের স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। যার প্রভাব ফার্টিলিটির উপর পড়তে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের চিকিৎসা শেষ হলেই ফার্টিলিটি সংক্রান্ত সমস্যাও শেষ হয়ে যায়।

ক্যানসার চিকিৎসা শুরুর আগে মহিলাদের ফার্টিলিটি সংরক্ষণ:

মহিলাদের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ অনেকটাই বেশি। জেনে নেওয়া যাক, মহিলাদের ক্ষেত্রে ফার্টিলিটি সংরক্ষণের দিকগুলি।

  • এমব্রায়ো ক্রায়োপ্রিজারভেশন

এ ক্ষেত্রে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে তা নিষিক্ত করা হয়। তাতে যে ভ্রূণটা তৈরি হয়, সেটা ফ্রিজ করে সংরক্ষণ করা হয়। যাতে ক্যানসার সেরে যাওয়ার পর ওই ভ্রূণ হবু মায়ের গর্ভে রোপণ করা যায়। গবেষণা বলছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ভাবে ভ্রূণ সংরক্ষণ সফল হয়।

  • ডিম্বাণু সংরক্ষণ

এ ক্ষেত্রে মহিলাদের অনিষিক্ত ডিম্বাণু সংগ্রহ করে তা নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

  • রেডিয়েশন শিল্ডিং

এ ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় ঢাকা দিয়ে রাখা হয়। যাতে ডিম্বাশয়ের উপর রেডিয়েশনের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।

  • ওভারি বা ডিম্বাশয়ের জায়গা বদল

পেলভিক অংশে রেডিয়েশন দেওয়া হলে ওভারি বা ডিম্বাশয়ের জায়গা বদলে দেওয়া হয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ হলে আবার সার্জারি করে ডিম্বাশয় ঠিক জায়গায় ফিরিয়ে এনে কনসিভ করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে সব সময় ওভারিকে রেডিয়েশনের হাত থেকে বাঁচানো যায় না।

  • সার্ভিক্স বাদ দেওয়া

প্রথম স্টেজের সার্ভিক্যাল ক্যানসারের চিকিৎসায় সার্ভিক্সের ক্যানসার আক্রান্ত অংশের সঙ্গে বড় চোঙার মতো একটা অংশ বাদ দেওয়া হয়। তার পর সার্ভিক্স ও জরায়ুর বাকি অংশ সংরক্ষণ করা হয়।

ক্যানসার চিকিৎসা শুরুর আগে পুরুষদের ফার্টিলিটি সংরক্ষণ:

ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগে পুরুষরা যদি মনে করেন যে, ফার্টিলিটি সংরক্ষণ করবেন, তা হলে সেটা করতেই পারেন।

  • স্পার্ম ক্রায়োপ্রিজারভেশন

এ ক্ষেত্রে স্পার্ম বা শুক্রাণু কোনও স্পার্ম ব্যাঙ্কে অথবা ফার্টিলিটি ক্লিনিকে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। যাতে সেটা পরে ব্যবহার করা যায়। ওই শুক্রাণু নিম্ন তাপমাত্রায় রাখা হয় এবং বছরের পর বছর ও ভাবে সংরক্ষণ করা যায়।

  • রেডিয়েশন শিল্ডিং

রেডিয়েশনের মারাত্মক প্রভাব যাতে জননাঙ্গে না পড়ে, তার জন্য শুক্রাশয় ঢাকনার মতো উপাদান দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

কখন এই বিষয়ে ভাববেন:

হয়তো আপনার ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তার চিকিৎসা শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি চান, নিজের ফার্টিলিটি প্রিজারভেশন বা ফার্টিলিটি সংরক্ষণ করবেন, তা হলে তা করতে পারবেন। এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য় করতে পারেন এক জন ফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ। তিনি পুরোটা বুঝে আপনাকে পরীক্ষা করে সঠিক দিশা দেখাবেন এবং চিকিৎসা চলাকালীন তিনিই আপনাকে তার পরামর্শও নিতে হবে।

 

Tobacco Kills and Not Just You

Tobacco kills and not just you

Debolina is a filmmaker. She was a smoker. Fresh out of a film and television institute, for the 23-year-old it was a dream come true when she joined as a trainee in a leading advertising agency.

Talented and dedicated, she caught the eye of a renowned producer and was working with her on big projects. Long hours, late nights, outdoor shoots and frequent outstation shoots soon became a part of her life, as did the cigarette.

It was at an after-party on the night of a film release when Debolina lit her first cigarette. Her friends just wanted Debolina to “try it out” and also said that a cigarette once in a while wouldn’t do any harm.
That is how it happened. Once-in-a-while soon became a pack a day and then up to three packs a day and without even realizing Debolina was hooked. The urge to smoke never left her and her mind refused to focus without the nicotine kick of a cigarette. Debolina climbed the career ladder fast but the cigarette was a constant companion in her journey.

She met Rajat, a singer, during an outstation shoot. Taking an instant liking to each other, they kept in touch, often collaborated on assignments, became romantically involved and soon got married. Debolina was 29 when she first conceived.

On her visit to the Gynaecologist, the Doctor warned her that her habit of smoking was likely to cause harm to her baby. Although Debolina tried quitting, it didn’t work in her favour. She found it impossible
to concentrate on her work without it and was also experiencing withdrawal symptoms like headaches and anxiety. Ignoring the Doctor’s warnings, she resumed smoking.

Debolina’s world fell apart when she miscarried. A devastated and repentant Debolina now realized the harm she had caused herself. She promised herself to give up smoking and with constant support from
her husband and some close friends, she got past the phase and the cravings slowly stopped returning.

  • Nearly four years later Debolina conceived again and this time she strictly followed the Doctor’s instructions and delivered a healthy baby girl. Today Debolina can proudly claim to be a non-smoker. If Debolina’s story reminds you of your own habit of smoking which you are perhaps trying to quit or want to, here are some tips that can help you:
  • Let your friends and family know that you plan to quit smoking and tell them that you need their support and encouragement to stop
  • Anticipate and plan for the challenges you are likely to encounter while quitting
  • Remove cigarettes and other tobacco products from your home, car, and work desk
  • Talk to your doctor about getting help to quit as he/she can prescribe medication/therapy to help with withdrawal symptoms
  • If you slip up, don’t feel demotivated. It doesn’t mean you can’t quit for good

Follow these and soon you too will be able to proudly call yourself a non-smoker .

Safety Tips to Follow Once the Lockdown is Relaxed

The government is all set to curb restrictions but the pandemic is not over yet! Be sure to follow these tips to keep yourself and your loved ones safe.

Read more in Bengali

Lockdown normal

লকডাউনের প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। আর করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাও দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। এ দিকে ঘরে ফেরানো হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদেরও। আর এর মধ্যেই লকডাউন আদৌ উঠবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। তবে বহু জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে কলকাতার কিছু সরকারি-বেসরকারি অফিস। খুলেছে কিছু কিছু দোকানপাট এমনকী সেলুন-পার্লারও। নির্দেশিকা মেনে চালু হয়েছে যানবাহনও। তবে লোকাল ট্রেন কবে চলবে, তা স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় যাঁদের কাজে বেরোতে হচ্ছে, তাঁদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। তাই জেনে নিন, কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?

এই পরিস্থিতিতে যা যা করণীয়:
১। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা আবশ্যিক। 
২। বাইরে সব সময় সাবান-জল দিয়ে হাত ধোওয়া সম্ভব হবে না, তাই হ্যান্ডব্যাগে সব সময় স্যানিটাইজার রাখুন।
৩। গন্তব্যে পৌঁছে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। আর অফিসে থাকাকালীন বারবার হাত ধুতে হবে।
৪। অনেক দিন বাদে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। ফলে আবেগের বশে বন্ধু বা সহকর্মীদের জড়িয়ে ধরবেন না।
৫। অফিসে ও অন্যান্য জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। অর্থাৎ এক-একটি চেয়ারের মাঝে যেন নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে।
৬। বাইরে থাকাকালীন মাস্ক পরে থাকুন। মাথাও ঢেকে নিন।
৭। কাউকে অভিবাদন জানাতে হলে হাত না মিলিয়ে বা করমর্দন না করে নমস্কার করুন।
৮। মোবাইল, কম্পিউটার আর কি-বোর্ড স্যানিটাইজ করুন।
৯। অফিসে নিজের চেয়ার আর ডেস্ক পরিষ্কার রাখুন। 
১০। অফিস গেলে বা বাইরে বেরোলে কাপড়ের ব্যাগ নিন, যাতে বাড়ি ফিরে সেটা ধুয়ে নিতে পারেন।
১১। কোথাও থেকে বাড়ি ফিরে পরনের জামাকাপড় কেচে দিন এবং নিজেও স্নান করে ফেলুন।
১২। হাঁচি-কাশির সময় কনুইয়ের ভাঁজে নাক-মুখে চাপা দিন, যাতে ড্রপলেটস এ-দিক ও-দিক ছড়িয়ে না পড়ে।
১৩। হাতের গয়না (আংটি, চুড়ি ব্রেসলেট) ও ঘড়ি না পরাই ভাল।
১৪। শরীর খারাপ থাকলে অথবা জ্বর এলে বাইরে বেরোবেন না। 
১৫। খবর দেখে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই ওসব এড়িয়ে চলুন এবং ভাল ভাল কথা চিন্তা করুন।
১৬। সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলুন।

উপরোক্ত এই নিয়মগুলি মেনে চলে নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকেও সুস্থ রাখুন। মনে রাখবেন, লকডাউন শিথিল হচ্ছে মানে বিপদ কেটে গিয়েছে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। আগামী দিনে যতক্ষণ না কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ এই করোনা ভাইরাস নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তাই সচেতন হোন আর নিরাপদ থাকুন। 

Childhood Asthma: Symptoms, Diagnosis, and Treatment

Asthma is one of the most common chronic diseases of childhood currently affecting an estimated 6.1 million children under 18 years. The chronic condition affects airways resulting in wheezing and making it hard to breathe. Several factors can cause irritation in the airways, such as allergies, cold air, chemicals in the air, exercise, the common cold, or even stress.

Childhood asthma isn’t different from asthma in adults, but children face unique challenges. Unfortunately, childhood asthma cannot be cured, and symptoms can continue into adulthood. But with the right treatment, your child can keep symptoms under control and prevent damage to growing lungs.

Common Symptoms of Childhood Asthma

Common childhood asthma symptoms include:

coughing-in-children
Source: Google
  • Frequent coughing that worsens with a viral infection, especially when your child is asleep or exercises or is exposed to cold air
  • A whistling or wheezing sound when breathing out
  • Shortness of breath
  • Chest congestion or tightness

Childhood asthma may also cause:

  • Trouble sleeping due to shortness of breath
  • Bouts of coughing or wheezing that worsens with a cold or flu
  • Delayed recovery or bronchitis, especially after a respiratory infection
  • Troubled breathing
  • Fatigue

Asthma symptoms vary from child to child and can get worse or better with time. Your child may have just one indication, such as chest congestion or lingering cough.

Three Things You May Not Know about Childhood Asthma

Here are three things you might not know about childhood asthma.

1. Asthma Symptoms Can Come and Go

Many times, I’ve had parents say that their child doesn’t have asthma because they don’t or hardly ever wheeze. It is possible — common, even — to wheeze with a severe cold or lung infection and not have asthma. But if that happens a couple of times or more than that, then it’s most likely asthma.

It is understandable to want to dodge the diagnosis — who wants their children to have a chronic disease? But it is important to make the diagnosis because that way parents can be watchful and figure out what triggers a child’s symptoms. Once we are aware of the triggers and can tell from the signs that an asthma attack is about to begin, there is a lot we can do to help the child.

child cat
Source: Google

We can avoid triggers, like by staying away from cats. We can manage the triggers, like by wearing a scarf over the mouth and nose in cold weather, or by using an inhaler before exercising. We can be sure they get a flu shot, as influenza can make children with asthma very sick.

The goal is always to help children with asthma lead the healthiest, most normal lives possible. We can’t do that if the diagnosis remains incomplete.

2. Your Child Can Have Asthma Without You Hearing a Wheeze

The wheezing is often not obvious; you may need trained ears or a stethoscope to hear it. Some children with asthma don’t wheeze at all: they just cough. Coughing is one of the main symptoms of asthma in most cases. It’s how the child’s body tries to get and keep the airway tubes open.

There are, however, plenty of other reasons why children cough. The common cold and postnasal drip from allergies are the common reasons behind them coughing. But if your child coughs frequently at night or after exercising, suffers from a nagging dry cough, or gets a bad, lingering cough with cold, you must consult a doctor as it could be asthma.

3. Asthma Is Treatable

As mentioned above, what we most want is for children with asthma to lead normal, healthy lives. And here’s the truth: we can make that happen. We can both prevent and manage triggers and use medications to relieve symptoms.

A steroid inhaler or preventative medication, used every day or during periods when asthma is worse or might get worse, makes all the difference in most cases. While some parents get nervous when they think of giving steroids to their children, the dose is usually low — and while some parents may find daily medications challenging, there are several strategies to make it work. For many children, preventative medication can make a big difference between wheezing all the time and not wheezing at all.

Treatment for Childhood Asthma

Consult a doctor to set your child on the right track with an action plan with treatment goals tailored for your child. With the right treatment, your child can sleep through the night, avoid missing school, and breathe more easily. The treatment plan will help determine when your child’s asthma is under control, when you need to change medicines, or when emergency help is required.

Your child’s treatment will depend on the frequency and severity of symptoms. To deal with childhood asthma, your doctor may prescribe two types of medicines:

  • Quick relief: Any child who has asthma needs a quick-relief medicine to treat coughing, wheezing, and shortness of breath, or unforeseen asthma attack. This medicine – typically an inhaler – is always asked to be kept with a child for use at the first sign of symptoms
  • Long-term control: This type of medicine is needed by some children to treat inflammation of the airways. In long-term control, asthma medications are taken daily to prevent symptoms and attacks

Childhood Asthma and Coronavirus

Children diagnosed with asthma are at higher risk for succumbing to COVID-19, even though their symptoms may not be as severe as those of adults. Parents and caregivers can reduce chances of exposing their children with asthma to the virus by preventing asthma attacks that are likely to lead to hospitalization. And although asthma symptoms vary from one child to another, most symptoms can be controlled using proper preventative techniques.

Because families are mandated to stay at home, households are busier and more crowded than usual. To maintain a healthy home, keep in mind the following:

  • Do not clean if your children are in the same room and do not use harsh chemicals
  • Use green products for cleaning or look for combinations that include chemically-safe products
  • Dust your home using a damp towel to prevent dust from dispersing into the air
  • Open the windows to ventilate the house
  • When cooking, turn on the stove vent to decrease indoor air pollution
  • If using a printer frequently, open a window to ventilate the room. Printers contribute to indoor air pollution
  • Ensure that all asthma medications are stocked up as needed
  • Ask if your physician offers online or telephone appointments to avoid going to doctor’s offices or hospitals

Asthma attacks are a startling experience for many. Now, more than ever, it’s imperative that parents keep their children’s asthma symptoms controlled to reduce risk of exposure to COVID-19.

When to Seek Emergency Treatment

In severe cases, you may see your child’s chest and sides pulling inward as he or she struggles to breathe. Your child might have an increased heartbeat, sweating, and chest pain. Seek emergency care if your child:

  • Has to stop in midsentence to catch a breath
  • Is using abdominal muscles to breathe
  • Has widened nostrils when inhaling

Even if your child has not yet been diagnosed with asthma, seek medical help immediately if he/she has trouble breathing. Although episodes of asthma vary in severity, asthma attacks can start with coughing, which usually progresses to labored breathing and wheezing.