Safety Tips to Follow Once the Lockdown is Relaxed

The government is all set to curb restrictions but the pandemic is not over yet! Be sure to follow these tips to keep yourself and your loved ones safe.

Read more in Bengali

Lockdown normal

লকডাউনের প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। আর করোনা-আক্রান্তের সংখ্যাও দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। এ দিকে ঘরে ফেরানো হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদেরও। আর এর মধ্যেই লকডাউন আদৌ উঠবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা। তবে বহু জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে কলকাতার কিছু সরকারি-বেসরকারি অফিস। খুলেছে কিছু কিছু দোকানপাট এমনকী সেলুন-পার্লারও। নির্দেশিকা মেনে চালু হয়েছে যানবাহনও। তবে লোকাল ট্রেন কবে চলবে, তা স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় যাঁদের কাজে বেরোতে হচ্ছে, তাঁদের সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে। তাই জেনে নিন, কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?

এই পরিস্থিতিতে যা যা করণীয়:
১। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা আবশ্যিক। 
২। বাইরে সব সময় সাবান-জল দিয়ে হাত ধোওয়া সম্ভব হবে না, তাই হ্যান্ডব্যাগে সব সময় স্যানিটাইজার রাখুন।
৩। গন্তব্যে পৌঁছে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। আর অফিসে থাকাকালীন বারবার হাত ধুতে হবে।
৪। অনেক দিন বাদে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। ফলে আবেগের বশে বন্ধু বা সহকর্মীদের জড়িয়ে ধরবেন না।
৫। অফিসে ও অন্যান্য জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। অর্থাৎ এক-একটি চেয়ারের মাঝে যেন নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে।
৬। বাইরে থাকাকালীন মাস্ক পরে থাকুন। মাথাও ঢেকে নিন।
৭। কাউকে অভিবাদন জানাতে হলে হাত না মিলিয়ে বা করমর্দন না করে নমস্কার করুন।
৮। মোবাইল, কম্পিউটার আর কি-বোর্ড স্যানিটাইজ করুন।
৯। অফিসে নিজের চেয়ার আর ডেস্ক পরিষ্কার রাখুন। 
১০। অফিস গেলে বা বাইরে বেরোলে কাপড়ের ব্যাগ নিন, যাতে বাড়ি ফিরে সেটা ধুয়ে নিতে পারেন।
১১। কোথাও থেকে বাড়ি ফিরে পরনের জামাকাপড় কেচে দিন এবং নিজেও স্নান করে ফেলুন।
১২। হাঁচি-কাশির সময় কনুইয়ের ভাঁজে নাক-মুখে চাপা দিন, যাতে ড্রপলেটস এ-দিক ও-দিক ছড়িয়ে না পড়ে।
১৩। হাতের গয়না (আংটি, চুড়ি ব্রেসলেট) ও ঘড়ি না পরাই ভাল।
১৪। শরীর খারাপ থাকলে অথবা জ্বর এলে বাইরে বেরোবেন না। 
১৫। খবর দেখে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তাই ওসব এড়িয়ে চলুন এবং ভাল ভাল কথা চিন্তা করুন।
১৬। সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেনে চলুন।

উপরোক্ত এই নিয়মগুলি মেনে চলে নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকেও সুস্থ রাখুন। মনে রাখবেন, লকডাউন শিথিল হচ্ছে মানে বিপদ কেটে গিয়েছে, এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। আগামী দিনে যতক্ষণ না কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে, ততক্ষণ এই করোনা ভাইরাস নিয়েই আমাদের চলতে হবে। তাই সচেতন হোন আর নিরাপদ থাকুন।