Vaccines are one of the greatest inventions of mankind – yet there is a lot of misinformation regarding the same. Here are the facts behind some common vaccine myths.
Read more in Bengali
প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধের একটাই উপায়। আর সেটা হল- টিকা। মানে সঠিক সময়ে সঠিক টিকা নেওয়া।
ভাইরাস অথবা ব্যাকটিরিয়ার মাধ্যমে যে সব প্রাণঘাতী রোগ ছড়িয়ে পড়ে, সেই রোগের বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি অথবা ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলে একটা সুরক্ষা কবচ তৈরি করে টিকা। তাই বাচ্চার জন্মের পর টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব শিশুর টিকাকরণ হয় না। আর সেটা শুধুমাত্র অভিভাবকের অজ্ঞতার কারণে।
অনেকেই মনে করেন, টিকা ক্ষতিকর এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সন্তানের জীবনহানিও হতে পারে। সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। হাম, ডিপথেরিয়া, পোলিও, রুবেলা, মাম্পস এই ধরনের রোগের টিকা এখনও অনেকেই নিতে চায় না। কিন্তু এই সব রোগ প্রতিরোধকারী টিকা নিয়ে নিলেই কিন্তু নিশ্চিন্ত।
এটা শুধু আপনার সন্তানকে নয়, পরের প্রজন্মকেও সুরক্ষিত রাখবে। কারণ ব্যাপক হারে টিকাকরণ হলে কিন্তু রোগ ছড়াতে তো পারেই না, এমনকী রোগ বিলুপ্তও হয়। এই যেমন- জলবসন্ত। এখন কি কাউকে জলবসন্তের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়? একেবারেই না। কারণ টিকাকরণ সঠিক ভাবে হওয়ার দরুন এই রোগ মুছে গিয়েছে। ফলে বুঝতেই পারছেন, টিকা কতটা জরুরি আপনার সন্তানের জন্য। তাই এর সঙ্গে জেনে নিন, টিকা সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণাগুলি। আর সত্যিটাও!
টিকা সংক্রান্ত কয়েকটি তত্ত্ব এবং তথ্য:
তত্ত্ব- হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস প্রভৃতি রোগ একেবারেই গুরুতর নয়।
তথ্য- উপরের প্রতিটি রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা নেওয়া। কারণ এই রোগগুলি খুবই গুরুতর। তার থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, হাম, হুপিং কাশি, মাম্পস, টিটেনাসের মতো রোগ কিন্তু এখনও ছড়ায়।
তত্ত্ব– হাম, মাম্পস, ডিপথেরিয়ার মতো রোগ আর ছড়ায় না, তাই আমার বাচ্চার আর টিকার দরকার নেই।
তথ্য– এই সব রোগ এখন বিরল। কিন্তু এই রোগ এখনও ছড়ায়। আর টিকাকরণের হার যে-ই কমবে, তখনই কিন্তু এই রোগ ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করবে। এতে কিন্তু ক্ষতির মুখে পড়বে আপনার পরের প্রজন্মও।
তত্ত্ব– অন্যরা তো টিকা নিচ্ছেই, আমার বাচ্চাকে আর টিকা দেওয়ার দরকার নেই।
তথ্য– আপনার বাচ্চারও টিকার প্রয়োজন। মানে প্রত্যেকের জন্যই টিকা অত্যন্ত জরুরি। ধরে নিন, অনেকেই আপনার মতো গা-ছাড়া মনোভাব নিচ্ছেন। তার ফলে কম সংখ্যক শিশুরই টিকাকরণ হবে। আর তাতে কিন্তু রোগ সংক্রমণ অতি দ্রুত ছড়াবে।
তত্ত্ব– আমার বাচ্চা তো স্তন্যপানের উপর আছে, তাই ওর কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনাই নেই।
তথ্য– স্তন্যপান কিন্তু কোনও টিকার পরিপূরক নয়। স্তন্যপান নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ থেকে আপনার সন্তানকে বাঁচাতে পারে। তবে খুব সীমিত সংখ্যক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাবে স্তনদুগ্ধ। তাই স্তন্যপান করলে আর টিকার দরকার নেই, এই ধারণা পুরোপুরি ভুল।
তত্ত্ব– এমএমআর ভ্যাকসিন থেকে অটিজম হয়।
তথ্য– একদমই না। এই দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বহু বড় বড় গবেষণায় এই ভ্যাকসিন আর অটিজমের কোনও যোগসূত্র মেলেনি।
তত্ত্ব– টিকায় থাকা থাইমেরোসালের জন্য অটিজম হয়।
তথ্য– অটিজম বা অন্য ডিজঅর্ডারের সঙ্গে থাইমেরোসালের যোগসূত্র আছে, এমন প্রমাণ এখনও মেলেনি। বহু বিজ্ঞানীই এই নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন বহু দিন ধরে। কিন্তু কোনও যোগসূত্রই তাঁরা খুঁজে বার করতে পারেননি। তবে আর একটা বিষয় হল, বহু বছর ধরেই শিশুদের টিকায় আর থাইমেরোসালের ব্যবহার হয় না।
তত্ত্ব– শরীরের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানই সব চেয়ে ভাল। আলাদা করে কোনও টিকার দরকার নেই।
তথ্য– সব ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। যে সব ক্ষতিকর জীবাণুকে রুখতে টিকাকরণ হয়, সেই সব জীবাণু কিন্তু প্রকৃতিরই অংশ। আর এটাও জেনে রাখুন, টিকাও কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান থেকেই তৈরি হয়।
তত্ত্ব– টিকা কতটা নিরাপদ তা যথেষ্ট ভাবে পরীক্ষা করা হয় না।
তথ্য– টিকা পুরোপুরি ভাবে নিরাপদ। অন্যান্য ওষুধের মতোই অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই টিকা ব্যবহার করা হয়। সেই সঙ্গে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কি না, সেই দিকেও নজর রাখা হয়।